হারলেই টুর্নামেন্ট শেষ। এর থেকে চাপের বাক্য বোধহয় একটা দলের জন্য আর হতে পারে না। এমন সমীকরণ মাথায় নিয়েই আজ আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। তবে মেহেদি হাসান মিরাজ-নাজমুল হোসেন শান্তর দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে সেই চাপ সামলে রানের পাহাড় গড়েছে টাইগাররা। ৩৩৫ রানের জয়ের লক্ষ্যে এখন ব্যাটিং করছে আফগানিস্তান।
রমেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন রহমত শাহ-ইব্রাহিম জাদরান জুটি। অবশেষে রহমতকে বোল্ড করে সেই জুটি থামালেন তাসকিন। ইনিংসের ১৮তম ওভারের পঞ্চম বলটি তাসকিনের সিম-আপ ডেলিভারি ছিল। ভেতরের দিকে ঢুকা সেই বলে বড় শটের চেষ্টা করেছিলেন রহমত। তবে বলের নাগাল পাননি। ৫৭ বলে ৩৩ রান করে বোল্ড হয়েছেন তিনি, ভেঙেছে ৭৮ রানের জুটি।
শুরুতেই আফগানিস্তানকে চেপে ধরেছিল বাংলাদেশ। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসছে তারা। শেষ ৫ ওভারে তারা স্কোরবোর্ডে তুলেছে ২৬ রান। উইকেট ব্যাটিং সহায়ক, ফ্লাডলাইটের নিচে সেটি আরও বেশি হয়ে উঠতে পারে। গুরবাজের উইকেটের পর রহমত শাহ ও ইব্রাহিম জাদরানের জুটিতেই উঠেছে ৫০ রান।
সুপার ফোরে যাওয়ার লড়াইয়ে থাকতে গেলে এ ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই বাংলাদেশের। তবে আফগানিস্তানকে যদি ২৭৯ রানের মধ্যে আটকাতে পারে বাংলাদেশ, তাহলে সুপার ফোরে যেতে আর পরের ম্যাচের ফলের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে না। সরাসরি পরের রাউন্ডে জায়গা করে নেবে তারা। তাই সংগ্রহটা তিনশোর্ধ্ব হলেও আফগানদের ২৭৯ রানের মধ্যেই আটকে রাখতে চাইবে বাংলাদেশ। সেই লক্ষ্য অন্তত শুরুর পাওয়ার প্লেতে সফল বাংলাদেশ। ১০ ওভার শেষে ১ উইকেটে ৩৭ রানের বেশি তুলতে পারেনি আফগানরা।