সোমবার, মে ৬, ২০২৪
No menu items!
বাড়িজাতীয়সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি চালু হচ্ছে আজ

সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি চালু হচ্ছে আজ

সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি চালু হচ্ছে আজ (বৃহস্পতিবার, ১৭ আগস্ট)। সকাল ১০টায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটি উদ্বোধন করবেন।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে আরও বলা হয়েছে, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সংযুক্ত থাকবে গোপালগঞ্জ, বাগেরহাট ও রংপুর জেলা প্রশাসন এবং সৌদি আরবের বাংলাদেশ দূতাবাস।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কথা বিবেচনায় নিয়ে এ সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি চালু করা হচ্ছে। আপাতত চার শ্রেণির জনগোষ্ঠীর জন্য এতে চারটি স্কিম থাকছে।

এর মধ্যে রয়েছে প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য প্রবাস স্কিম, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের জন্য প্রগতি স্কিম, স্বকর্মে নিয়োজিত নাগরিকদের জন্য সুরক্ষা স্কিম এবং স্বকর্মে নিয়োজিত স্বল্প আয়ের নাগরিকদের জন্য সমতা স্কিম।

এর আগে, রোববার (১৩ আগস্ট) সর্বজনীন পেনশন বিধিমালা চূড়ান্ত করে গেজেট প্রকাশ করে সরকার। সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২৩ (২০১৩ সনের ৪ নম্বর আইন)-এর ধারা ২৯-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে নতুন এ বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। এটি সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিধিমালা, ২০২৩ নামে অভিহিত হবে।

সূত্র জানায়, এ কর্মসূচিটি এমনভাবে করা হচ্ছে, যাতে দেশের ১৮ বছর থেকে ৫০ বছর বয়সী জাতীয় পরিচয়পত্রধারী সব বাংলাদেশি নাগরিক তাদের জন্য প্রযোজ্য কোনো স্কিমে অংশ নিতে নিবন্ধন করতে পারবেন। তবে বিশেষ বিবেচনায় ৫০ বছরের বেশি বয়সের নাগরিকরাও স্কিমে অংশ নিতে পারবেন। তবে সেই ক্ষেত্রে স্কিমে অংশ নেয়ার তারিখ থেকে নিরবচ্ছিন্ন ১০ বছর চাঁদা দেয়া শেষে তিনি যে বয়সে উপনীত হবেন সেই বয়স থেকে আজীবন পেনশন পাবেন।

আর প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিক যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই, তারাও প্রযোজ্য স্কিমে পাসপোর্টের ভিত্তিতে নিবন্ধন করতে পারবেন। এছাড়া সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় থাকা ব্যক্তিরা প্রযোজ্য স্কিমে অংশ নিতে পারবেন। তবে এতে অংশ নেয়ার আগে সংশ্লিষ্ট সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সুবিধা সমর্পণ করতে হবে।

কোনো স্কিমে নিবন্ধনের জন্য দেশে এবং প্রবাসে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিককে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত ফরম অনলাইনে পূরণ করে আবেদন করতে হবে। যার বিপরীতে আবেদনকারীর অনুকূলে একটি ইউনিক আইডি নম্বর দেয়া হবে।

আবেদনে উল্লিখিত আবেদনকারীর মোবাইল নম্বরে এবং অনিবাসী আবেদনকারীর ক্ষেত্রে স্বয়ংক্রিয় ই-মেইলের মাধ্যমে ইউনিক আইডি নম্বর, চাঁদার হার এবং মাসিক চাঁদা দেয়ার তারিখ অবহিত করা হবে।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments
আরো দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

মানবতার সেবায় কালিয়াকৈর গ্রুপ

টিভিতে আজকের খেলা