নীলফামারীতে জেঁকে বসছে শীত। কমতে থাকা তাপমাত্রা জানান দিচ্ছে হেমন্তের বিদায়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের তাপ থাকলেও সন্ধ্যার পর বেড়ে যায় শীতের তীব্রতা। রাতে তাপমাত্রা আরও কমে যায়। সোমবার সকালে নীলফামারীর সৈয়দপুরে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হোসেন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।কুয়াশার কারণে সকালে সড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে, বিঘ্নিত হচ্ছে প্লেন চলাচলও।সৈয়দপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হাকিম জানান, গত কয়েকদিন ধরে এ অঞ্চলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রির নিচে অবস্থান করছে। মধ্যরাত থেকে ঘনকুয়াশায় ঢাকা পড়ছে এ অঞ্চল। আজ সকাল ৬টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সামনের দিনে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।এদিকে, শীত বেড়ে যাওয়ায় সবচেয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন শ্রমজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষ। শীত ও ঠান্ডার কারণে কাজে বের হতে পারছে না তারা। উত্তরের হিমেল হাওয়া ও কনকনে ঠান্ডায় গরম কাপড়ের অভাবে শীতে কষ্টে পড়েছেন এ জনপদের মানুষ। দিন গড়িয়ে সূর্য উঠলেও সন্ধ্যার পর থেকে কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে রাস্তা-ঘাট। সে সময় রাস্তায় কমে যায় মানুষের চলাচল। দুর্ভোগে পড়েছেন বয়স্ক ও শিশুরা।ডোমার উপজেলার চিলাই গ্রামের নবীকুল ইসলাম বলেন, কয়দিন থেকে খুব শীত ও কুয়াশা। সকালে ঠান্ডার কারণে কাজ করা যায় না। এতে খুব সমস্যায় পড়ছি।একই এলাকার বাসিন্দা সাজু ইসলাম বলেন, সকালের দিকে আর সন্ধ্যা থেকে শীতের অনুভূতি বেশি হচ্ছে। সকালে কুয়াশা আর শীতটা বেশি থাকে। প্রয়োজন থাকলেও সকালে বাহিরে বের হওয়া কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে।
নীলফামারীতে জেঁকে বসছে শীত, তাপমাত্রা ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 Comments
আরো দেখুন