শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হল থেকে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিয়ে এই কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তিনি।
এ সময় শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেনসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
রোববার (১ জানুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় আলাদাভাবে কেন্দ্রীয় পাঠ্যবই উৎসব উদযাপন করবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ের বই উৎসব গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ে আয়োজন করা হবে। আর প্রাথমিক পর্যায়ের বইয়ের কেন্দ্রীয় উৎসব হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে। অনুষ্ঠানে দুই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সচিবসহ বিশিষ্ট ব্যক্তি, কর্মকর্তা, শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত থাকবেন।
এনসিটিবি জানিয়েছে, ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের জন্য প্রায় ৩৫ কোটি পাঠ্যবই ছাপানোর কথা রয়েছে। এর মধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ের পাঠ্যবই প্রায় ১০ কোটি। বাকি ২৫ কোটি মাধ্যমিক ও অন্যান্য বিষয়ের বই রয়েছে। বই উৎসবের আগে মাধ্যমিক পর্যায়ের ৮০ শতাংশ বই জেলায় পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হলেও প্রাথমিকের বড় অংশের বই পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়বে। প্রাথমিকের বই দেরি করে ছাপা শুরু হওয়ায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
২০১০ সাল থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের সব শিক্ষার্থীকে বিনা মূল্যে নতুন পাঠ্যবই দেওয়া শুরু করে সরকার। এরপর ধারাবাহিকভাবে প্রতিবছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের উৎসব করে বিনা মূল্যে বই দেওয়া হচ্ছে।