ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিপীড়নের ঘটনায় জেলা প্রশাসককে তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় জানান, তদন্ত কমিটি গঠনের সাথে সাথে ছাত্রীর ভিডিও সরাতেও বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) এবং তাকে নিরাপত্তা দিতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি ঘটনার সাথে জড়িতদের তদন্ত চলাকালীন সময়ে হলের বাইরে থাকতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়াও এ বিষয়ে কর্তৃৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি নয় জানতে চেয়ে রুল দিয়েছে হাইকোর্ট। পরে আদালত ২৮ ফেব্রুয়ারি মামলাটি আবার শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করেছেন।
বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) গণ মাধ্যমে ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ঘটনা প্রকাশের পর রিট করা হয় হাইকোর্টে।
গত ১১ ফেব্রুয়ারি নবীন বরণ অনুষ্ঠানে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা চৌধুরী অন্তরা জানতে চান, ‘দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে’ নতুন কারা উঠেছেন। এ সময় হাত উঠিয়ে সারা দেন পাবনার ফুলপরি খাতুন।
এর পর ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে হলের গণরুমে ওই ছাত্রীকে ডেকে নিয়ে অন্তরা ও তার সহযোগীরা সাড়ে ৪ ঘণ্টা ধরে অশ্লীল গালি ও শারীরিক নির্যাতন করেন। এক পর্যায়ে সব ছাত্রীদের মাঝেই বিবস্ত্র অবস্থায় ভিডিও করেন তারা। পরদিন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন ওই শিক্ষার্থী।
এ বিষয়ে উল্টো ভুক্তভোগীর বিরুদ্ধেই অভিযোগ করেন অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেত্রী।