সোমবার, এপ্রিল ২৯, ২০২৪
No menu items!
বাড়িঅর্থনীতিরমজানে চাহিদার অর্ধেক চিনি ও পেঁয়াজ রপ্তানি করবে ভারত

রমজানে চাহিদার অর্ধেক চিনি ও পেঁয়াজ রপ্তানি করবে ভারত

আসন্ন রমজানে বাংলাদেশের চাহিদার অর্ধেক চিনি ও পেঁয়াজ রপ্তানির ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়েছে ভারত। তার মধ্যে রয়েছে ৫০ হাজার টন চিনি এবং ২০ হাজার টন পেঁয়াজ। এ বিষয়ে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে সোমবার (৩০ জানুয়ারি) নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোস্তাফিজুর রহমানকে চিঠি পাঠিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

এর আগে ২৪ জানুয়ারি পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখতে ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প, বস্ত্র ও ভোগ্যপণ্য এবং খাদ্য ও গণ বিতরণ বিষয়কমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলামের টেলিফোনে আলাপ হয়। ওই সময় আহসানুল ইসলাম ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রীকে ১ লাখ টন চিনি ও ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ সরবরাহের পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানান। তবে বাংলাদেশের বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীকে ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী ৫০ হাজার টন চিনি এবং ২০ হাজার টন পেঁয়াজ সরবরাহ নিশ্চিতের জন্য ইতিবাচক পদক্ষেপ নেবেন বলে আশ্বস্ত করেন।

নয়াদিল্লির বাংলাদেশ হাইকমিশনে পাঠানো চিঠিতে এসব তথ্যও ওঠে আসে। চিঠিতে বলা হয়, ভারতের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগের মাধ্যমে আসন্ন রমজান উপলক্ষে চাহিত চিনি ও পেঁয়াজ সরবরাহের প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

হাইকমিশনারকে পাঠানো চিঠিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও শিল্প কারখানার কাঁচামালের বৃহত্তম জোগানদাতা ভারত। দেশটি থেকে নিত্যপণ্য আমদানির ক্ষেত্রে বার্ষিক চাহিদার সুনির্দিষ্ট সরবরাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ যে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব ভারতকে পাঠিয়েছে, শিগগির তা বাস্তবায়নেরও অনুরোধ জানান প্রতিমন্ত্রী।

চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ভারত থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় সাত পণ্য আমদানিতে বার্ষিক কোটা (নির্ধারিত পরিমাণ) পাওয়ার বিষয়ে এক বছরের বেশি সময় ধরে আলোচনা চলছে। পণ্যগুলো হচ্ছে চাল, গম, পেঁয়াজ, আদা, রসুন, চিনি ও মসুর ডাল।

২০২২ সালের ডিসেম্বরে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্যমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে বাংলাদেশের তৎকালীন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি প্রথম ভারত থেকে আট ধরনের নিত্যপণ্যে কোটা চেয়ে প্রস্তাব দেন। প্রস্তাবের মূল কথা হচ্ছে, এসব পণ্য আমদানিতে বাংলাদেশের জন্য ভারত যেন বার্ষিক কোটা রাখে।

ভারতের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের পক্ষ থেকে লিখিত প্রস্তাবের পরামর্শ দিয়ে তখন এ বিষয়ে সম্মতিও জানানো হয়। অনেকবার চিঠি চালাচালির পর শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ ১৫ লাখ ৫০ হাজার টন চাল, ২৬ লাখ টন গম, ১০ লাখ টন চিনি, ৮ লাখ টন পেঁয়াজ, ৫০ হাজার টন আদা, ৭০ হাজার টন রসুন ও ১ লাখ টন মসুর ডালের কোটা চাহিদা পাঠায় ভারতে।

বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভারতকে এও বলা হয়, ৮ থেকে ১০ লাখ টন চাল আমদানি করা হবে সরকারিভাবে, বাকিটা আমদানি করবে বেসরকারি খাত। আর গমের কোটায় সরকার ৫ থেকে ৭ লাখ টন আনবে, বাকিটা আসবে বেসরকারিভাবে।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম গতকাল মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘পবিত্র রমজান শুরু হওয়ার অনেক আগেই ভারতের মন্ত্রী পীযূষ গয়ালের প্রতিশ্রুত চিনি ও পেঁয়াজ বাংলাদেশে আসবে। যদিও চিনি, পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে ভারত সরকারের। তারপরও নেপালে ২৫ হাজার টন চিনি রপ্তানি করেছে ভারত। এ উদাহরণ সামনে নিয়ে পীযূষ গয়ালের সঙ্গে কথা হয়েছে।’

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments
আরো দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

মানবতার সেবায় কালিয়াকৈর গ্রুপ

টিভিতে আজকের খেলা