ম্যাচটা কি আসলে বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ের সময়ই হেরে গিয়েছিল? চাইলে এমনটাই বলা যায়। এখনকার ওয়ানডেতে তো আর ২২১ রান নিয়ে জেতার আশা করা যায় না। আফগানিস্তান আর বাংলাদেশের ব্যবধানটা গড়ে দিয়েছে ব্যাটিংই। আরও নির্দিষ্ট করে বললে—জুটি গড়া।
আফগানিস্তানকে ২২২ রানের লক্ষ্য দেওয়ার পথে বাংলাদেশ পেয়েছিল মাত্র একটি বড় জুটি। তাওহিদ হৃদয়ের সঙ্গে মিলে তৃতীয় উইকেটে অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ করেছিলেন ১৪১ বলে ১০১ রান। কিন্তু দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জুটি? সেটি হৃদয় আর সাইফ হাসানের ৪০ বলে ২৮ রান!
অন্যদিকে রান তাড়ায় নেমে আফগানিস্তানের কোনো জুটি শত রান ছাড়ায়নি। তবু তিনটি জুটি পঞ্চাশ পেরিয়েছে। আর সেটাই যথেষ্ট ছিল ম্যাচ জেতার জন্য। দুই ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ আর ইব্রাহিম জাদরান শুরু করেছিলেন ৫২ রানের জুটি দিয়ে। এরপর তৃতীয় উইকেটে গুরবাজ ও রহমত শাহ ১১১ বলে ৭৮ রান যোগ করে ম্যাচটা প্রায় মুঠোয় নিয়ে নেন। দুজনই ৫ বলের মধ্যে আউট হয়ে গেলে কিছুটা চাপ তৈরি হয়েছিল। কিন্তু তখনই আজমতউল্লাহ ও শহীদির ৫৯ রানের জুটি আফগানিস্তানকে এগিয়ে দেয়। শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেট হাতে রেখে আর ৭ বল বাকি থাকতেই জয় তুলে নেয় তারা।
বাংলাদেশ কেন হেরেছে, সে ব্যাখ্যা দিয়েছেন অধিনায়ক মিরাজও। তাঁর ভাষায়, ‘শেষদিকে আমরা জুটি পাইনি। সেখানেই সমস্যাটা হয়েছে। এই উইকেটে ব্যাট করা কঠিন ছিল। উইকেটে কিছুটা টার্ন ছিল।’
তাঁর কণ্ঠে শোনা গেছে আফসোসও, ‘যদি ২৬০ রানের বেশি করতে পারতাম, তাহলে ভালো হতো। আমাদের ভালো বোলার আছে। কিন্তু তাঁদের হাতে যথেষ্ট রান তুলে দিতে পারিনি।’
আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জেতার আত্মবিশ্বাস নিয়েই ওয়ানডে সিরিজ শুরু করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু প্রথম ম্যাচেই হোঁচট খেল তারা। সামনে আরও দুটি ম্যাচ বাকি। ২০২৭ বিশ্বকাপের জন্য বাছাইপর্ব খেলতে না হয়, সেজন্য এই সিরিজটা জেতা বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তবু আশাবাদী মিরাজ, ‘আমাদের সুযোগ আছে। এক ম্যাচ গেছে, আরও দুটি বাকি আছে। কিছু ভুল করেছি, যত দ্রুত সম্ভব এগুলো থেকে শিখব। আমি আত্মবিশ্বাসী ছেলেরা পরের ম্যাচে ভালো করবে।’