ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট তার সোনালি দিন হারিয়েছে অনেক আগেই। এখন বড় দলগুলোর সঙ্গে নিয়মিতই হারতে হয় তাদের। ভারতের বিপক্ষে সবশেষ আহমেদাবাদ টেস্টে ইনিংস পরাজয় সঙ্গী হয়েছে ক্যারিবীয়দের।
নিজেদের এই বাজে পারফরম্যান্সের পেছনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের টেস্ট অধিনায়ক রস্টন চেজ দায়ী করেছেন, ক্যারিবীয় অঞ্চলের ক্রিকেটে অবকাঠামোগত সমস্যা ও আর্থিক সংকটকে। এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজের কৌশল ও পরিচালনা কমিটিতেও, যেখানে লারা ও চেজ দুজনেই সদস্য।
লারা মানছেন, অর্থ ও প্রযুক্তিগত ঘাটতি রয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে। তবে খেলোয়াড়দের মধ্যে দেশের হয়ে খেলার আবেগ ও ভালোবাসার ঘাটতিকেই প্রধান সমস্যা মনে করছেন তিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বেশিরভাগ ক্রিকেটার দেশের চিন্তা না করে অর্থের ঝনঝনানি শুনে ফ্র্যাঞ্জাইজি ক্রিকেটকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে।
ক্যারিবীয় কিংবদন্তি বলেন, ‘৩০-৪০ বছর আগে আমাদেরও ভালো সুবিধা বা আধুনিক প্রযুক্তি ছিল না। ভিভ রিচার্ডসও ভালো প্র্যাকটিস পিচে ব্যাটিং করতেন না। কিন্তু তখন খেলোয়াড়দের ভেতরে দেশের হয়ে খেলার আবেগ আলাদা ছিল। আমি তরুণদের বলব, ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে খেলা একটা সম্মানের ব্যাপার। প্রতিটি অভিভাবকই চেয়েছেন তাদের সন্তান দেশের হয়ে খেলুক। সেই মানসিকতা ফিরিয়ে আনতে হবে।’
আর্জেন্টিনার ফুটবল মহাতারকা লিওনেল মেসিকে এই ক্ষেত্রে উদাহরণ হিসেবে দেখার পরামর্শ লারার। তিনি বলেন, ‘মেসি ইউরোপে বড় হয়েছে, কিন্তু দেশের হয়ে খেলার গর্ব কখনও হারায়নি। দক্ষিণ আমেরিকার অনেক ফুটবলারই বিদেশে খেলেন, কিন্তু জাতীয় দলের হয়ে খেলতে তারা সর্বোচ্চ দেন। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররাও একইভাবে নিজেদের দেশের প্রতি অনুগত।’
শেষে লারা আহ্বান জানান সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার, ‘আমরা কাউকেই দোষারোপ করছি না। তবে প্রশাসক, কোচ, খেলোয়াড়-সবাইকে একসঙ্গে হতে হবে। যদি সত্যিই ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট আমাদের হৃদয়ে থাকে, তবে আমরা নিশ্চয়ই এগিয়ে যাওয়ার পথ খুঁজে পাব।’