তিনবারের রানার্সআপ বাংলাদেশ এবার স্বপ্নপূরণের প্রত্যাশায় ছক্কার পাঠ নিয়ে পা রেখেছে মরুর দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে। শক্তিশালী পেস আক্রমণ তাদের বড় ভরসা হয়ে আছে। ব্যাটিং লাইনআপও এখন অনেক পরিণত। জুলিয়ান উডের তত্ত্বাবধানে জাকের আলীরা নিয়েছেন পাওয়ার হিটিংয়ের বিশেষ অনুশীলন। ফলে আশা করা যায়, তাদের ব্যাটিংয়ে টি-টোয়েন্টির স্বাভাবিক ঝলক এবার দেখা যাবে।
আশার পিঠে কিঞ্চিৎ হতাশার অতীতও রয়েছে। ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চট্টগ্রামে বাংলাদেশ হেরেছিল হংকংয়ের কাছে। ক্রিকেটের খুদে সংস্করণে সেটাই এ দুদলের প্রথম ম্যাচ। সেই হংকং দলের দুজন খেলোয়াড় বাবর হায়াত ও নিজাকাত খান বর্তমান দলে আছেন। গত ১১ বছরে আইসিসির সহযোগী সদস্য দেশ হংকং মাত্র ১১টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর বিপক্ষে।
শিরোপায় চোখ রেখে এশিয়া কাপ শুরু করতে যাওয়া বাংলাদেশ চাইবে প্রথম ১০ ওভারে যত বেশি সম্ভব উইকেট নিতে। এই কাজে সাম্প্রতিক সময়ে সফলতার পরিচয় দিয়েছেন তাসকিন-মোস্তাফিজরা। স্ট্রাইক বোলার হিসাবে ডান-হাতি পেসার তাসকিন আহমেদ এবং ডেথ ওভারে বাঁ-হাতি কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান বোলিংয়ে লিটন দাসের দুই তুরুপের তাস। তাদের সঙ্গ দিতে পারেন তানজিম হাসান। পাওয়ারপ্লেতে অফ-স্পিনার মেহেদী হাসান এবং লেগ-স্পিনার রিশাদ হোসেনও রাখতে পারেন কার্যকর ভূমিকা। বাংলাদেশ তিন পেসার ও দুই স্পিনার নিয়ে একাদশ সাজাতে পারে।
এদিকে হংকংয়ের প্রধান কোচ কুশল সিলভা বলেন, ‘বাংলাদেশ মানসম্পন্ন দল। তাদের ভালো স্পিনার আছে। ব্যাটিং লাইনআপ বেশ শক্তিশালী। আমরা যা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি, সেটি নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে।’ এখন পর্যন্ত আবুধাবিতে দুটি টি-টোয়েন্টি খেলে দুটিতেই হেরেছে বাংলাদেশ। এই মাঠে দুবার দুশর বেশি স্কোর হয়েছে। কন্ডিশন বাংলাদেশের মতো। দিনে ৪০ ডিগ্রির আশপাশে তাপমাত্রা। সন্ধ্যার পর শিশির পড়ে। সিলেটে এ ধরনের কন্ডিশনে নিজেদের প্রস্তুতি সেরেছে বাংলাদেশ।