জাতীয় ফুটবল দলের ক্যাম্প শুরুর আগের দিন ফুটবলারদের তালিকা প্রকাশ করত ফেডারেশন। বাংলাদেশের ফুটবলের চিরাচরিত সংস্কৃতি। জাতীয় দলের স্পেনিশ কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা আসার পর সেই সংস্কৃতি ব্যহত হয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে। সেপ্টেম্বরের উইন্ডোর পর এবার নভেম্বর উইন্ডোতে ফুটবলাররা অনুশীলন শুরু করলেও আনুষ্ঠানিকভাবে বাফুফে তালিকা প্রকাশ করেনি।
ফুটবলারদের রিপোর্টিং, অনুশীলন শুরুর দিন থেকেই সাংবাদিকরা খেলোয়াড় তালিকা নিয়ে প্রশ্ন করে যাচ্ছিলেন। সহকারী কোচ হাসান আল মামুন, খেলোয়াড়রা এর কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। ফেডারেশনের কর্মকর্তারা বলছিলেন কোচের নির্দেশনার কথা। তাই আজ কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরাকে খেলোয়াড় তালিকা প্রকাশ না করা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল। এর উত্তরে তিনি নিজে দায়মুক্ত থেকে ফেডারেশনের কোর্টেই বল ঠেলেছেন, ‘আমি মনে করি এটা আমার সঙ্গে সম্পর্কিত না। আমি সবসময় ক্যাম্পের আগেই স্কোয়াড লিস্ট শেয়ার করি। হয়তো এই ব্যাপারে আপনাকে মি. সাদমানের (মিডিয়া ম্যানেজার) সঙ্গে কথা বলতে হবে।’
জাতীয় ফুটবল দলের হেড কোচরা সাধারণত ট্যাকনিক্যাল বিষয়গুলোই তদারকি করেন। তবে হ্যাভিয়ের ক্যাববেরার কর্তৃত্ব এতটাই যে মিডিয়ার বিজ্ঞপ্তি নিয়েও বিধি নিষেধ থাকে। ফেডারেশনের কর্মকর্তারা অনানুষ্ঠানিকভাবে সাংবাদিকদের এটি একাধিকবার বলেছেন। ক্যাবরেরার উত্তরের মাঝে আবার জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, ‘ফেডারেশন থেকে জানা গেছে কোচের নির্দেশনায় তারা করে না।’ এই মন্তব্যের পর কোচ আবার বলেন, ‘না, না, এটা কোচের নির্দেশ না। আমি সবসময় ক্যাম্পের আগেই লিস্ট দিই, সবসময়।’
জাতীয় স্টেডিয়ামে কোচ যখন এমন মন্তব্য করছিলেন তখন পাশে ছিলেন মিডিয়া ম্যানেজার সাদমান সাকিব। কোচের এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, ‘ক্যাম্প শুরুর সময় মিডিয়া বিভাগের কাছে খেলোয়াড় তালিকা ছিল না।’ ফেডারেশন সূত্রের খবর, বসুন্ধরা কিংস বাদে ১৪ জন ফুটবলার দিয়ে ক্যাম্প শুরু হয়। সেই তালিকা মিডিয়ায় প্রকাশ না করার জন্য কোচের থেকেই নির্দেশনা ছিল। পরবর্তীতে কিংসের ফুটবলারদেরসহ পূর্ণাঙ্গ তালিকা দিলেও সেটা আর প্রকাশ হয়নি। জাতীয় ফুটবল দলের ম্যানজোর আমের খান। ক্যাম্প শুরুর আগের দিন রাতেও তার জানা ছিল না কারা রিপোর্ট করতে আসছেন। দল প্রকাশের লুকোচুরি খেলায় কোচ ক্যাবরেরা না ফেডারেশনকে সত্য কে মিথ্যা ফুটবলাঙ্গনে প্রশ্ন উঠেছে।
