প্রথম দুই ম্যাচে যাচ্ছেতাই ব্যাটিং হলো বাংলাদেশের। হংকংয়ের বিপক্ষে জিতলেও ব্যাটিং নিয়ে অসন্তুষ্টি ছিল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তো ব্যাটিংয়ের দৈন্যদশা দেখা গিয়েছিল। দুই ওপেনার কোনো রান না করে ফিরে গিয়ে দলকে চরম বিপর্যয়ে ফেলে দিয়ে গিয়েছিল। যে কারণে ওপেনিং জুটি নিয়ে বেশ সমালোচনা হচ্ছিল।
বোলিংয়েও খুব বেশি প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি বাংলাদেশের বোলাররা। যে কারণে বোলিং নিয়েও সমালোচনা ছিল। বাঁ-হাতি শরিফুল ইসলামকে নিয়ে সমালোচনার ঝড় ছিল বেশি।
যে কারণে, আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এনে খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ। এই ম্যাচে হারলেই এশিয়া কাপ থেকে ছিটকে যাবে বাংলাদেশ। জিতলে টিকে থাকবে। এ কারণেই মূলতঃ তিন পরিবর্তন।
ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমনের পরিবর্তে একাদশে আনা হয়েছে সাইফ হাসানকে। যিনি ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বোলিংও বেশ ভালোভাবে করতে পারেন। দুই পেসারে পরিবর্তন আনা হয়। শরিফুল ইসলামকে বাদ দিয়ে আনা হলো তাসকিন আহমেদকে। অন্যদিকে তানজিম হাসান সাকিবকে বাদ দিয়ে ব্যাটিং শক্তি বাড়ানো হলো। নেয়া হলো নুরুল হাসান সোহানকে।
বাংলাদেশ একাদশ
তানজিদ হাসান তামিম, সাইফ হাসান, লিটন দাস (অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক), তাওহিদ হৃদয়, শেখ মেহেদী হাসান, নুরুল হাসান, জাকের আলী অনিক, শামীম হোসেন পাটোয়ারী, রিশাদ হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ।
আফগানিস্তান একাদশ
রহমানুল্লাহ গুরবাজ (উইকেটরক্ষক), সেদিকুল্লাহ অটল, ইবরাহিম জাদরান, গুলবাদিন নাইব, করিম জানাত, আজহমতউল্লাহ ওমরজাই, মোহাম্মদ নবি, রশিদ খান (অধিনায়ক), নুর আহমাদ, এএম গজনফার, ফজলহক ফারুকি।