জাকের আলী অনিক আর শামীম হোসেন পাটোয়ারীর লড়াই কোনো কাজেই লাগলো না। যে উইকেটে শ্রীলঙ্কান বোলাররা বিধ্বংসী হয়ে উঠেছিল, সেই একই উইকেটে বাংলাদেশের বোলাররা হয়ে গেলেন নখ-দন্তহীন। ফলে ১৪০ রানের লক্ষ্য ৩২ বল এবং ৬ উইকেট হাতে রেখে টপকে গেলো শ্রীলঙ্কা।
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় ৫ উইকেট হারিয়ে ১৩৯ রান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৪.৪ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় শ্রীলঙ্কা।
১৪০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা শ্রীলঙ্কার শুরুতেই কুশল মেন্ডিসের উইকেট তুলে নেন মোস্তাফিজুর রহমান। দলের ১৩ রানের মাথায় মেন্ডিস আউট হলেও পাথুম নিশাঙ্কা আর কামিল মিশারা দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ঝোড়ো ব্যাটিং করে শ্রীলঙ্কার জয় নিশ্চিত করে ফেলেন।
৯৫ রানের জুটি গড়ে তোলেন এ দু‘জন। ৩৪ বলে ৫০ রান করে আউট হন পাথুম নিশাঙ্কা। ৩২ বলে ৪৬ রান করে অপরাজিত থেকে যান কামিল মিশারা। ৯ বলে ৯ রান করে শেখ মেহেদীর বলে এলবিডব্লিউ হন কুশল পেরেরা। এরপর ব্যাট করতে নেমে ৩ বলে ১ রান করে আউট হন দাসুন শানাকা। চারিথ আশালঙ্কা ৪ বলে ১০ রান করে লঙ্কানদের জয় এনে দেন।
বাংলাদেশের বোলারদের হয়ে শেখ মেহেদী হাসান ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। ১টি করে নেন মোস্তাফিজুর রহমান ও তানজিম সাকিব।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। শূন্য রানেই হারায় ২ উইকেট। এরপর ১১ রানে ৩য়, ৩৮ রানে ৪র্থ ও ৫৩ রানে হারায় ৫ম উইকেট। এরপরই ঘুরে দাঁড়ান জাকের আলী অনিক ও শামীম হোসেন পাটোয়ারী। অপরাজিত ৮৬ রানের জুটি গড়ে ১৩৯ রানের লড়াকু পুঁজি এনে দেন তারা দু‘জন। ৩৪ বলে ৪১ রান করেন জাকের আলী অনিক ও সমান বলে ৪২ রান করেন শামীম হোসেন পাটোয়ারী। ২৮ রান করেন লিটন দাস।