আওয়ামী লীগ সব সময় বড় বড় কথা বললেও দলটির নাম কেন উর্দুতে রাখা হয়েছিল—এমন প্রশ্ন তুলে সমালোচনা করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আবদুল মঈন খান।
শনিবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে চাঁদপুরের কচুয়া সরকারি ডিগ্রি কলেজ মাঠে উপজেলা ও পৌর বিএনপির আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
ড. মঈন খান বলেন, “আওয়ামী লীগ মানে জনগণ—তারা জনগণের জন্য কী করেছে? এই প্রশ্ন শুধু বিএনপির নেতাকর্মীদের নয়, আওয়ামী লীগের সমর্থকদেরও নিজেদের করতে হবে।” তিনি অভিযোগ করে বলেন, “দলের ব্যর্থতার কারণে তারা কাপুরুষের মতো বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।”
গত বছরের ৫ আগস্ট ‘ছাত্র-জনতার বিপ্লব’ প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, “স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা দেশে ছেড়ে পালানোর সময় দলের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তার কথা একবারও ভাবেননি। আওয়ামী লীগ গুম, খুন ও মিথ্যা মামলার মাধ্যমে দেশের জনগণকে অতিষ্ঠ করে তুলেছিল।”
১৯৭১ সালের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “২৫ মার্চের পর আওয়ামী লীগ নেতারা দেশ থেকে পালিয়ে যায়। তখন নিজ পরিবারকে দূরে রেখে দেশের মানুষের পক্ষে দাঁড়ান শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। পাকিস্তান বাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে তিনি কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন এবং সম্মুখসমরে যুদ্ধ করেন। এজন্য তাকে বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত করা হয়েছিল।”
তিনি অভিযোগ করেন, ২০০৮ থেকে ২০২4 সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের জুলুম-নির্যাতন, গুম ও খুনের শিকার হয়েছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা, তবুও তারা ‘ধানের শীষের’ পক্ষে লড়াই চালিয়ে গেছেন।
সমাবেশে বিএনপির চাঁদপুর-১ (কচুয়া) আসনের মনোনীত প্রার্থী আ ন ম এহসানুল হক মিলনের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে ধানের শীষ প্রতীক তুলে দেন মঈন খান। তিনি ভোটারদের উদ্দেশে বলেন, “এই আসনটি তারেক রহমানকে উপহার দিন।”
সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজমুন নাহার বেবী, ইসলামী ফাউন্ডেশনের গভর্নর অধ্যক্ষ মাওলানা শাহ নেসারুল হকসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা।
