ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে (ডাকসু) অনিয়ম নিয়ে যে কারও উদ্বেগ থাকা গণতান্ত্রিক অধিকার। তবে সে উদ্বেগ যৌক্তিক কি না, সেটাও গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক (জিএস) এস এম ফরহাদ।
আজ রোববার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করার পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন এস এম ফরহাদ।
ডাকসুর জিএস বলেন, ডাকসু নির্বাচন নিয়ে অভিযোগ আসা উচিত সুনির্দিষ্ট। অভিযোগ এলে সেটার জবাবও দেওয়া উচিত। তিনি বলেন, ‘যখন অভিযোগ আসছে, মানদণ্ড অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জবাব দিতে আমরা অনুরোধ করেছি। সম্ভবত আজ কর্তৃপক্ষ জবাব দিয়েছে।’
এস এম ফরহাদ বলেন, ‘এরপরও ডাকসু নির্বাচন নিয়ে যদি কোনো প্রশ্ন থাকে, তা করা যেতে পারে। কারণ, উদ্বেগ থাকাটা যে কারও গণতান্ত্রিক অধিকার। সে উদ্যোগের জবাব দেওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বলব প্রতিটি প্রশ্নের জবাব দেওয়ার জন্য। কোনো বিষয় যাতে অনিষ্পন্ন না থাকে।’
শারদীয় দুর্গাপূজায় নিরাপত্তার বিষয়ে কথা বলতে আজ দুপুরে ডাকসুর পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করতে যায়। এরপর বের হয়ে তারা সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেয়।
ডাকসুর সহসভাপতি (ভিপি) সাদিক কায়েম বলেন, দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, স্কুল ও পূজামণ্ডপে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে অনুরোধ করা হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পরিবেশ কেমন দেখছেন—এমন প্রশ্নের জবাবে সাদিক কায়েম বলেন, ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিয়ে ইতিমধ্যে প্রক্টরিয়াল বডির সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে জানানো হয়েছে।
দুর্গাপূজা সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্নে করতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা করতে এসেছেন উল্লেখ করে ডাকসুর ভিপি বলেন, পূজা নিয়ে চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র হতে পারে। এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের সচেতন থাকতে হবে।
সাদিক কায়েম বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে আমরা কিছু উদ্বেগের কথা জানিয়েছি। দুষ্কৃতকারীরা কয়েকটি জায়গায় পূজামণ্ডপ ভেঙেছে। এসব ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছি। এ ছাড়া কিছু জেলা ঝুঁকিতে রয়েছে। সেসব জেলায় বাড়তি নিরাপত্তা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।’
সাদিক কায়েম আরও বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দুটি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। একটি শাহরিয়ার আলম সাম্য, অন্যটি তোফাজ্জল হোসেন হত্যাকাণ্ড। আমরা এখনো সাম্য হত্যাকাণ্ডের অগ্রগতি জানি না। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কারা জড়িত, তা বের করতে হবে। জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।’ তোফাজ্জল হত্যাকাণ্ডের বিচার যাতে দ্রুত শেষ হয়, সে বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে অনুরোধ করা হয়েছে বলেও জানান ডাকসুর ভিপি।