মেহেরপুর-২ আসনের মনোনয়নকে কেন্দ্র করে গাংনীতে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে মনোনয়নপ্রাপ্ত সাবেক সংসদ সদস্য আমজাদ হোসেন এবং জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনের সমর্থকদের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রার্থী আমজাদ হোসেন দলীয় নেতা–কর্মীদের নিয়ে গাংনী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় যাচ্ছিলেন। এ সময় মনোনয়ন না পাওয়া জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদের সমর্থকেরা তাঁদের ওপর হামলা করেন। পরে দুই পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল ছোড়াছুড়ি ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। সংঘর্ষের একপর্যায়ে জাভেদ মাসুদের সমর্থকেরা আমজাদ হোসেনের কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও কয়েকটি মোটরসাইকেল ক্ষতিগ্রস্ত করেন। খবর পেয়ে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলুর নেতৃত্বে আমজাদ হোসেনের সমর্থকেরা পাল্টা মিছিল বের করে জাভেদ মাসুদের কার্যালয়ে হামলা চালান। তাঁরা অফিসের আসবাব বাইরে এনে আগুন ধরিয়ে দেন। এ সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর টহল গাড়ি এলাকায় পৌঁছালে নেতা–কর্মীরা কিছু সময়ের জন্য ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। পরে আবার সংঘর্ষ শুরু হয়।
এ বিষয়ে আমজাদ হোসেন ও জাভেদ মাসুদের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁরা ফোন ধরেননি।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানি ইসরাইল বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বেলা ২টার পর থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে।
উল্লেখ্য, গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় মেহেরপুরের দুটি আসনে দলের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। এর পর থেকেই মনোনয়নবঞ্চিত জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদের সমর্থকেরা গাংনী শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে প্রার্থী পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে আসছেন।
