জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, শাপলা প্রতীক পেতে এনসিপির আইনগত কোনো বাধা নেই। আমরা বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করেছি। আইন ও নির্বাচনী বিধিনিষেধ পর্যালোচনা এবং বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করেই আমরা শাপলা প্রতীক বেছে নিয়েছি।
সোমবার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির হলরুমে আয়োজিত এনসিপির রাজশাহী জেলা ও মহানগর সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
সারজিস আলম বলেন, এখানে আইনগত কোনো সমস্যা নেই। যদি নির্বাচন কমিশন চাপে পড়ে বা ইচ্ছাকৃতভাবে প্রতীক না দিতে চায়, তাহলে ধরে নিতে হবে তারা স্বাধীনতা ও সাংবিধানিক চরিত্র হারিয়েছে। এতে আমাদের কমিশনের ওপর আস্থা থাকবে না।
নির্বাচন কমিশনের নীতিমালা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সারজিস আলম বলেন, যে প্রক্রিয়ায় নিবন্ধিত হতে গিয়ে আমরা দেশের ২২টি জেলা, ১০০টি উপজেলায় কাঠামো গড়েছি, ইউনিটভিত্তিক ২০০ জনের জাতীয় পরিচয়পত্রসহ তথ্য জমা দিয়েছি, সেই একই মানদণ্ডে অন্য দলগুলোকেও যাচাই করা দরকার। অথচ দেখা যায়, কেউ একজন ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে ছোট একটি বোর্ড ঝুলিয়ে নিজেকে রাজনৈতিক দল ঘোষণা করেই স্বীকৃতি পেয়ে যায়। এটা নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।
তিনি আরও বলেন, নিবন্ধিত ৪৫টি দলের মধ্যে মাত্র ১৫টির নাম মানুষ জানে, নেতৃত্ব কার হাতে তাও জানে না। অথচ যারা মাঠে কাজ করছে, তাদের তুলনায় অচেনা দলগুলোকেই গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এটা ঠিক নয়।
সারজিস আলম বলেন, নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করব- শুধু এনসিপিকে শাপলা প্রতীক না দেওয়ার পেছনে সময় না নষ্ট করে বরং নীতিমালা সংশোধনের দিকে নজর দিন। যাতে প্রকৃত রাজনৈতিক দলগুলো সামনে এসে নির্বাচনে অংশ নিতে পারে।
তিনি আরও বলেন, যারা জনগণের জন্য রাজনীতি করছে, তাদের নির্বাচনী লড়াইয়ে প্রাসঙ্গিক রাখতে হবে। না হলে অনেকে বলে- আমার সঙ্গে ২০ বা ২৫টি দল আছে, অথচ মানুষ তাদের নামও জানে না, নেতাদেরও চিনে না। এই ধারা থেকে বেরিয়ে এসে নির্বাচন কমিশনের উচিত শক্তিশালী ও নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখা।
সমন্বয় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান ইমন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন এনসিপি রাজশাহী মহানগরের প্রধান সমন্বয়ক মোবাশ্বের আলীসহ জেলা ও মহানগরের নেতাকর্মীরা।