গ্রীষ্মের অন্যতম আকর্ষণীয় ফল হলো কাঁঠাল। এটি স্বাদ এবং গন্ধের জন্য অনেকের কাছেই প্রিয়। পাকা কাঁঠালের পাশাপাশি কাচা কাঁঠাল ও তরকারির জন্য বেশ সুস্বাদু। শুধু কাঁঠালই নয়, কাঁঠালের বিচিও খাওয়া হয়। এটিও উপকারী। সুস্বাদু ও সুমিষ্ট এই ফল নানাভাবে আমাদের উপকার করে থাকে। তবে কাঁঠালের উপকারিতা সম্পর্কে আমরা খুব একটা জানি না। রসালো এই ফলে কী উপকারিতা লুকিয়ে আছে, চলুন জেনে নেওয়া যাক-
১. হাইড্রেটেড রাখে
কাঁঠালে পানির পরিমাণ বেশি থাকে, যা গরমের দিনে হাইড্রেশনের মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে। নিয়মিত এই ফল খেলে ঘামের মাধ্যমে হারিয়ে যাওয়া তরল পদার্থ পূরণ করা যায় এবং ডিহাইড্রেশনজনিত ক্লান্তি বা মাথাব্যথা প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়।
২. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ কাঁঠাল শ্বেত রক্তকণিকার কার্যকারিতা বাড়িয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে। এটি শরীরকে মৌসুমী সংক্রমণ এবং ঠান্ডা বা তাপজনিত জ্বরের মতো সাধারণ গ্রীষ্মকালীন অসুস্থতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে।
৩. হজমশক্তি উন্নত করে
কাঁঠালের প্রাকৃতিক আঁশ স্বাভাবিক মলত্যাগ এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে হজমে সহায়তা করে। এটি অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিতেও সহায়তা করে, যা গ্রীষ্মের তাপের কারণে হজমশক্তি ধীর হয়ে গেলে বিশেষভাবে সহায়ক।
৪. দ্রুত শক্তি সরবরাহ করে
কাঁঠালে ফ্রুক্টোজ এবং সুক্রোজের মতো প্রাকৃতিক চিনি থাকে যা প্রক্রিয়াজাত চিনির মতো নয়। এই চিনি কোনো ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই দ্রুত শক্তি বৃদ্ধি করে। ওয়ার্কআউটের আগে নাস্তা হিসেবে কিংবা গ্রীষ্মের দুপুরে সতেজতার জন্য কাঁঠাল খেতে পারেন।
৫. হৃদরোগ দূরে রাখে
কাঁঠাল পটাশিয়ামের একটি ভালো উৎস, যা সোডিয়াম প্রতিরোধ করে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান রক্তনালীকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকেও রক্ষা করে, এভাবে ধীরে ধীরে হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে।