বুধবার, অক্টোবর ১৬, ২০২৪
No menu items!
বাড়িজাতীয়হাইড্রো ইকোপার্ক কোথায় নির্মাণ হবে, জানালেন মেয়র

হাইড্রো ইকোপার্ক কোথায় নির্মাণ হবে, জানালেন মেয়র

যত বাধাই আসুক, জনগণের সুবিধার জন্য সব বাধা অতিক্রম করে কল্যাণপুরে হাইড্রো ইকোপার্ক নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

বুধবার (১০ মে) দুপুরে গাবতলী বেড়িবাঁধসংলগ্ন কল্যাণপুর রিটেনশন পন্ডে ইকোপার্ক নির্মাণের লক্ষ্যে চলমান কার্যক্রম পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন।

আতিকুল ইসলাম বলেন, “কল্যাণপুর রিটেনশন পন্ডে হাইড্রো ইকোপার্ক নির্মাণের লক্ষ্যে আমরা এখানে পূর্ণ খননকাজ শুরু করেছি। খনন করতে গিয়ে আমাদের অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। সব অবৈধ দখল উচ্ছেদ করা হবে। অবৈধ দখলদারদের আমি কোনো বৈধ নোটিশ দেব না।”

তিনি বলেন, “ইকোপার্ক আমার বা কারও একার জন্য নয়, এটা পুরো রাজধানীর জন্য। সব বয়সের মানুষের জন্য এই পার্ক করা হবে। শিশু, নারী, পুরুষ ও বয়স্ক সব মানুষের সুবিধা থাকবে এখানে। এখানে আমরা সিটি ফরেস্ট গড়ে তুলব। প্রধানমন্ত্রী ঢাকা শহরে হাতিরঝিল প্রকল্প করে দিয়েছেন। কল্যাণপুরে আমরা তেমনি ন্যাচারবেজড ইকোপার্ক নির্মাণ করব।”

মেয়র বলেন, “ঢাকা ওয়াসা জলাশয়ের এই জমি অধিগ্রহণ করেছে ১৯৮৯ সালে। তখন ডিসি অফিস থেকে জমির মালিকদের টাকা দেওয়া হয়েছে। ওয়াসা তখন উচ্ছেদ করেনি। ফলে এখানে অবৈধভাবে অনেকে ঘরবাড়ি করেছে। ৫২ একর জমি ঢাকা ওয়াসা উদ্ধার করতে পারেনি। আমরা অভিযান পরিচালনা করছি। অভিযান পরিচালনা করে সব স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।”

মেয়র আতিকুল ইসলামের আহবানে সাড়া দিয়ে রিটেনশন পন্ড থেকে সালমা আক্তার নামে একজন নিজেই অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। সেখানে তার ৪০টি ঘর ছিল, যেগুলো নিজেই সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আজ পরিদর্শনকালে ডিএনসিসি মেয়র সালমা আক্তারকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

মেয়র বলেন, “আমি সবাইকে অনুরোধ করছি সালমা আক্তারের মতো নিজেরাই আপনাদের স্থাপনা সরিয়ে নিয়ে যান। নগরের জন্য, জনগণের সুবিধার কথা বিবেচনা করে আপনারা অবৈধ দখল সরিয়ে নিন। সালমা আক্তারের মতো মানুষ খুব প্রয়োজন। এমন মানুষদের নগরবাসী ও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম মনে রাখবে।”

রিটেনশন পন্ডের পাশে জলশয়ে বিএডিসির ভবন নির্মাণ হলে শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে বড় বাধা হবে উল্লেখ করে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, “এখানে ১৭৩ একর জলাশয়ের মধ্যে ১১৭ একর জমি হচ্ছে বিএডিসির। জলাধার আইনে পরিষ্কার বলা আছে বৃষ্টি ধারণ অঞ্চলের (রিটেনশন পন্ডের) জন্য বিএডিসিকে জমি দেওয়া আছে। কিন্তু শীতকালে এটা হবে বীজতলা। এখানে কোনো ধরনের বিল্ডিং করতে পারবে না। অথচ বিএডিসি জলাশয় ভরাট করে ভবন নির্মাণের কাজ করছে। এটি শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে বড় বাধা হবে।”

তিনি বলেন, “এখানে ৫টি খাল থেকে পানি আসবে বৃষ্টি ধারণ অঞ্চলে (রিটেনশন পন্ডে)। যত বৃষ্টি পড়বে এই রিটেনশন পন্ডে পানি আসবে এর পরে পাম্প করে নিয়ে যাব তুরাগ নদে। এলাকাগুলোতে কোনো জলাবদ্ধতা হবে না। বাস্তবে এটা যদি ঠিক করতে না পারি তাহলে মোহাম্মদপুর, মিরপুর, কল্যাণপুর, শেওড়াপাড়া ও কাজীপাড়া পানিতে ডুবে যাবে। ইকোপার্ক যত বেশি বড় হবে, এলাকাবাসী তত বেশি সুফল ভোগ করতে পারবেন।”

তিনি আরও বলেন, “পাশেই বিডিআর মার্কেট নামে অবৈধ দখল রয়েছে। এখানে বিডিআর মার্কেট নাম দিয়ে চাঁদাবাজি চলে। আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গেও আলাপ করেছি। এটি দ্রুতই উচ্ছেদ করা হবে।”

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments
আরো দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

মানবতার সেবায় কালিয়াকৈর গ্রুপ

টিভিতে আজকের খেলা