নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার কাশিপুরে চার্জার ফ্যান বিস্ফোরণের ঘটনায় বাবা মায়ের পর দগ্ধ সোনিয়াও (৩০) চলে গেলেন না ফেরার দেশে। এ নিয়ে মৃত সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৩ জনে।
গত সোমবার সকাল পৌনে দশটার দিকে মারা যায় তার পিতা আব্দুস সালাম মণ্ডল। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে মারা যায় তার মা বুলবুলি বেগম।
এরপরই আজ বুধবার(১৪ জুন) সকালের দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) মারা যান তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা.মো তরিকুল ইসলাম বলেন, নারায়ণগঞ্জে ফতুল্লা থেকে চার্জার ফ্যান বিস্ফোরণে একই পরিবারের নারী ও শিশুসহ পাঁচজন আমাদের এখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এদের মধ্যে সোনিয়া আক্তার নামে আরও একজন আইসিইউ-তে মারা গেছেন। তার শরীরের ৪২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। এ ঘটনায় দগ্ধ আরও ২ জন আমাদের এখানে চিকিৎসাধীন আছেন।
ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মহসীন জানান, বিস্ফোরণে দগ্ধ স্বামী-স্ত্রীর এবং মেয়ের মৃত্যুর খবর জানতে পেরেছি। এ ঘটনায় আরও দুইজন শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন আছেন বলেও তিনি জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য,শুক্রবার(৯ জুন) ফতুল্লার কাশিপুর খিলমার্কেট এলাকায় সেলিনা বেগমের বাড়িতে চার্জার ফ্যান বিস্ফোরণে সকাল আটটার দিকে এই ঘটনা ঘটে। পরে দগ্ধ অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে টুটুল (২৫) দগ্ধ ৬০ শতাংশ ও মেহেজাবিন (৭) দগ্ধ শতাংশ নিয়ে চিকিৎসাধীন আছেন।