কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্যাম্পের প্রায় ৪ হাজার বসতঘর পুড়ে গেছে। রোববার (৫ মার্চ) দুপুর ২টা ৪০ মিনিটের দিকে ১১নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি- ১৫ ব্লকে আগুনের সুত্রপাত হয়। প্রায় ৩ ঘণ্টা পর সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিটসহ স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, আগুনের সূত্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। আগুনের খবর শুনে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী,পুলিশসহ ফায়ার সার্ভিস উপস্থিত হয়েছে।
উখিয়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন ইনচার্জ এমদাদুল হক বলেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে আমরা উপস্থিত হয়েছি। বিকাল ৫টার পর ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিটের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় ক্যাম্পের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। তবে এখনও পর্যন্ত অগ্নিকাণ্ডের কারণ এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।
রোহিঙ্গা নেতা সৈয়দউল্লাহ জানান, ৯, ১০ ও ১১নং ক্যাম্পের ৮টি ব্লকের কমপক্ষে ৪ হাজার ঘর ইতিমধ্যে পুড়ে গেছে। এই ক্যাম্পগুলোর কমপক্ষে ৪০ হাজার মানুষকে খোলা আকাশের নিচে থাকতে হবে।
১১নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের যুবক মোহাম্মদ করিম বলেন, আমরা আশ্রয়হীন হয়ে পড়লাম, পরিবার নিয়ে চলে যাচ্ছি আত্নীয়ের বাসায়। আমার কিছু অবশিষ্ট নেই।
এর আগে , ২০২১ সালে ২২ মার্চ একই ক্যাম্পসহ পাশ্ববর্তী তিনটি ক্যাম্পে বড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। সে সময় আগুনে ১০ হাজারেরও বেশি বসতঘর পুড়ে যায়। অগ্নিকাণ্ডে ৪০ হাজার রোহিঙ্গা সদস্য গৃহহারা হয়েছিল। এছাড়া দগ্ধ হয়ে দুই শিশুসহ ৭ জন রোহিঙ্গা মারা যায়।