ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি আয়োজিত বিশেষ যোগ্যতা মূল্যায়ন পরীক্ষা আজ শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই বহুল আলোচিত পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর। তবে পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে ব্যাপক অসন্তোষ ও বিতর্ক।
ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, পরীক্ষার তারিখ গত ২৯ আগস্ট নির্ধারণ করা হলেও হাইকোর্টে দায়ের করা এক রিটের প্রেক্ষিতে তা স্থগিত করা হয়েছিল। পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশনায় বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, এ ধরনের পরীক্ষা আয়োজন একটি ব্যাংকের নিজস্ব এখতিয়ারভুক্ত বিষয়। তবে পরীক্ষার ভিত্তিতে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রচলিত আইন ও বিধিমালা অনুসরণ করতে হবে।
এর মাঝেই চট্টগ্রাম অঞ্চলের কর্মকর্তাদের মধ্যে পরীক্ষার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে অংশ নিয়ে বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা দাবি করেন, পরীক্ষার মাধ্যমে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে বাদ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। তারা অভিযোগ করেন, পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকলে চাকরিতে ঝুঁকি তৈরি হবে এবং পদোন্নতির সুযোগ বন্ধ হয়ে যাবে — এমন ভয়ভীতির বার্তা দেওয়া হয়েছে নোটিশের মাধ্যমে।
মানববন্ধনে বক্তারা এ পরীক্ষাকে ‘বৈষম্যমূলক’ এবং ‘অযৌক্তিক’ আখ্যা দিয়ে বলেন, চট্টগ্রাম অঞ্চলের কর্মকর্তাদের বিশেষভাবে টার্গেট করা হয়েছে, যেখানে একই ব্যাচের অন্যান্য অঞ্চলের কর্মকর্তাদের পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়নি।
এ বিষয়ে ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, হাইকোর্টের কোনো নিষেধাজ্ঞা বা স্থগিতাদেশ বর্তমানে নেই এবং বাংলাদেশ ব্যাংক থেকেও পরীক্ষার বিষয়ে কোনো বাধা দেওয়া হয়নি। ফলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা আয়োজনের বিষয়ে কোনো আইনি জটিলতা দেখছে না।