ইমরুল হাসান বাবু,স্টাফ রিপোর্টার:কোনো ধরনের তদবির ও ঘুস ছাড়াই শারীরিক ও মেধার যোগ্যতার ভিত্তিতে সম্পুর্ণ স্বচ্ছ ও দুর্নীতি মুক্ত প্রক্রিয়ায় মাত্র ১২০ টাকায় টাঙ্গাইলে পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ পেয়েছেন স্কুল দপ্তরির মেয়ে সহ ৫০ জন প্রার্থী। এর মধ্যে স্কুল-দপ্তরি মর্জিনা আক্তারের একমাত্র মেয়ে সাবিহা আক্তার বিথি চাকরি পেলেন। ১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি পাওয়ায় বিথির দু-চোখে আনন্দাশ্রু যেন থামছে না। স্বপ্ন দেখছেন দেশ গড়ার।
বুধবার (১৪ মে) রাতে টাঙ্গাইল পুলিশ লাইনের গ্রিলশেডে ফলাফল প্রকাশ করেন পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান। জানা যায়,তরফপুর এলাকার আদর্শ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি মর্জিনা বেগম। তার মেয়ে বিথির স্বপ্ন বড় হয়ে পুলিশে জয়েন করবে। সেই স্বপ্ন নিয়ে ১২০ টাকা দিয়ে আবেদন করেছিলেন পুলিশের রিক্রুট কনেস্টবলে। এর পর কয়েকটি ধাপ পার করে চূড়ান্ত তালিকায় উঠে আসে বিথি। এ বিষয়ে বিথি বলেন, ‘অভাবের সংসার থেকে এ সময়ে চাকরি পেলাম মাত্র ১২০ টাকায়, যা স্বপ্ন মনে হচ্ছে। এখন অভাবী মাকে সাহায্য করতে পারব সংসারে। বাবা অনেক আগে আমার মাকে ও আমাকে রেখে চলে গেছে।
ঘাটাইল উপজেলার ধলাপাড়া এলাকার কুসুমী সূত্রধরের মেয়ে রাখী সূত্রধর বলেন, ‘পরিবারের পাশে দাঁড়াতে পারব এখন। দেশের সেবা করার জন্য একটি সুযোগ পেলাম। খুবই ভালো লাগছে চূড়ান্ত তালিকায় উঠে।’
ফয়সাল নামে একজন বলেন, ‘বাবা কৃষক। কৃষক পরিবারের সন্তান হয়ে পুলিশে চাকরি পেয়ে খুবই ভালো লাগছে। দেশের সেবা করতে চাই নিজের জীবন বাজি রেখে।’
চাকুরি পাওয়া সদস্যদের সাথে আসা অভিবাবকরা এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, এবার কোন কোঠা ভিত্তিক নিয়োগ হয়নি। এবার ২৭ হাজার ৭১ জন আবেদন করেছিলো। এদের মধ্যে ৫০ জনকে চুড়ান্ত করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, ‘একদম স্বচ্ছভাবে এবার পুলিশে নিয়োগ হয়েছে। এবার কোনো কোটায় নিয়োগ হয়নি। সবাই বিনা কোটায় নিয়োগ পেল। এবার টাঙ্গাইলে ২৭ হাজার ৭১ জন আবেদন করেছিল। এর পর ৫০ জনকে চূড়ান্ত করা হয়েছে।নিয়োগ বোর্ডে ছিলেন নরসিংদী জেলার শিবপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়হান সরকার ও মানিকগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালাউদ্দিন।