রবিবার, মে ১৮, ২০২৫
No menu items!
বাড়িক্যাম্পাসরংপুরে প্রধান শিক্ষক নেই ২৭১ বিদ্যালয়ে,পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত

রংপুরে প্রধান শিক্ষক নেই ২৭১ বিদ্যালয়ে,পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত

রংপুর জেলার ১ হাজার ৪৫৫ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ২৭১ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নেই প্রধান শিক্ষক। এমন পরিস্থিতিতে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। সেই সঙ্গে দাপ্তরিক নানা কাজে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে শিক্ষক ও সংশ্লিষ্টদের।

রংপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২৭১টি বিদ্যালয়ের মধ্যে কাউনিয়ায় ১২টি, পীরগঞ্জে ৩৭টি, গঙ্গাচড়ায় ১২টি, তারাগঞ্জে আটটি, পীরগাছায় ৫৬টি, বদরগঞ্জে ৩৩টি, মিঠাপুকুরে ৮৮টি এবং রংপুর সদরে ২৫টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদ শূন্য রয়েছে।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগবিধি অনুযায়ী, প্রধান শিক্ষক পদে ৩৫ শতাংশ সরাসরি নিয়োগ ও ৬৫ শতাংশ সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতির মাধ্যমে পূরণের নিয়ম রয়েছে। সম্প্রতি পদোন্নতির মাধ্যমে শতভাগ প্রধান শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়। তবে এখনো বাস্তবায়ন শুরু হয়নি।  এতে বিদ্যালয়গুলো কার্যত অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে। চলতি দায়িত্বে কিছু সহকারী শিক্ষক নিয়োজিত থাকলেও কাঙ্ক্ষিত ফল মিলছে না।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের কেউ না কেউ প্রতিনিয়তই অবসরে যাচ্ছেন। অবসরের গতির তুলনায় পদোন্নতি ও সরকারি নিয়োগের গতি কম। এভাবে চললে কখনই শূন্য পদ পূরণ হবে না। সাধারণত, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদটি যদি দীর্ঘদিন ধরে শূন্য থাকে তাতে লেখাপড়া ব্যাহত হয়।
চারজন শিক্ষকের একজনকে চলতি দায়িত্ব বা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দিয়ে কাজ চালানো হয়। তাকে প্রায় প্রতিদিন উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন সভা, সেমিনারে অংশগ্রহণ এবং নানা প্রশাসনিক কাজ করতে হয়। আবার দায়িত্বপ্রাপ্তদের অধিকাংশ মহিলা হওয়ায় তাদের মাতৃত্বকালীন ছুটি বা অন্য ছুটি কাটাতে হয়। অনেকে প্রশিক্ষণে থাকেন। ফলে চারজনের দুজনকে বিদ্যালয় চালাতে হয়। সহকারী শিক্ষকরা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বলে তাদের নির্দেশ মানেন না অনেক শিক্ষক।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষক জানান, একজন প্রধান শিক্ষককে অনেক দায়িত্ব পালন করতে হয়। সেখানে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে আমাকে ক্লাস নেয়ার পাশাপাশি প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। এটা আমার জন্য খুব কষ্টের। ক্লাসের পাশাপাশি স্কুলের সার্বিক বিষয়ে সময় দেওয়া খুব কঠিন হয়ে পড়ছে। পাশাপাশি বিদ্যালয়ের পাঠদানে ব্যাহত হচ্ছে।

এ বিষয়ে রংপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা জেলার সম্ভাব্য শূন্য পদের প্রধান শিক্ষকদের তালিকা তৈরি করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠিয়েছি। এখনো কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি, দ্রুত শূন্য পদে নিয়োগের ব্যবস্থা হবে। এ বিষয়ে মহাপরিচালক, সচিব ও উপদেষ্টা অবগত আছেন। নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments
আরো দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ