এটাই শেষ। রমজানের মধ্যে এসে আপনাদের বারবার কথা বলছি। আর বলা হবে না। আইন না মানলে নিয়ম অনুযায়ী জরিমানা করা হবে। কোনো কথা আমরা শুনব না। বারবার এসে আপনাদের এই নিয়ম মানতে হবে, এটা করতে হবে- এমনটা বলব না। কথা গুলো বলছিলেন জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার।
এসময় ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, দেখা গেল আপনাদের কারও পুঁজি ২০ হাজার টাকা। এখন আমরা যদি আপনাকে আইন অনুযায়ী ২০ হাজার টাকা জরিমানা করি তাহলে কি ভালো হবে? আপনার কি ভালো লাগবে? আমরা জরিমানা করতে চাই না। আপনারা আইন মেনে ব্যবসা করেন।
কিছুদিন ধরে অন্যান্য নিত্যপণ্যের সঙ্গে অনেকটা পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ব্রয়লারসহ সব ধরনের মুরগির দাম। তবে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সঙ্গে বৈঠকের পর মুরগি খাতের ‘বিগ ফোর খ্যাত’ প্রতিষ্ঠান কেজিতে ৩০-৪০ টাকা কমানোর ঘোষণা দেয়। ফলে কিছুটা কমছে মুরগির দাম। কিন্তু রাজধানীর কাপ্তান বাজারসহ পাইকারি বাজারগুলোতে এখনও মুরগি নিয়ে চলছে যাচ্ছে তাই অবস্থা।
বিশেষ করে মুরগিসহ সব ধরনের পণ্যের ক্রয় রশিদ বাধ্যতামূলক থাকলেও অনেকেই তা মানছেন না। ক্রয় আর বিক্রয়মূল্য প্রদর্শনের কথা থাকলেও তা বেশিরভাগ ব্যবসায়ী শুনছেন না।
সোমবার (২৭ মার্চ) কাপ্তান বাজারে অভিযানে এসে ক্রয়-বিক্রয়ের তালিকা টানানো, ক্রয় রশিদ সংরক্ষণে রাখতে নির্দেশনা দিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।
সকাল ৯টায় রাজধানীর অন্যতম বড় পাইকারি বাজারটিতে অভিযান শুরু করে সরকারি এই সংস্থাটি। দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে এই অভিযান।
এসময় ব্রয়লারের পাইকারি দাম কেজিতে ১৯০ টাকা দেখে এক দোকানের সামনে বসে মুরগি ব্যবসায়ীদের সমিতির নেতাদের ফোন দেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার।
পরে ঢাকার বাইরের বাজারের সঙ্গে তুলনা করে ব্যবসায়ী নেতা ঢাকায় পাইকারি ১৮৫ টাকা কেজি হওয়া উচিত বলে জানান। তার কথা শুনে দোকানের বোর্ডে কাপ্তান বাজারের ব্যবসায়ীরাও ১৮৫ টাকা কেজি লিখে দেন।
এদিকে মুরগির বাজারের সমিতির সভাপতির দোকানে ক্রয়-বিক্রয়ের দাম না দেখে ভোক্তা অধিদফতরের এই কর্মকর্তা বলেন, সভাপতি কোথায়? তার দোকানেও তালিকা নেই। আমরা কিন্তু সে সভাপতি সেটা দেখব না। তার দোকানে তালিকা নেই। বলে দেবেন। না হলে জরিমানা হবে।
অভিযানে অধিদফতরের সহকারী পরিচালক ও ঢাকা জেলা কার্যালয়ের অফিস প্রধান আব্দুল জব্বার মণ্ডলসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা অংশ নেন।