দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় দুই ভাই নিহত হয়েছেন। লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, টাইর জেলার আল-বাইয়াদ গ্রামে ইসরায়েলি হামলায় এ ঘটনা ঘটে। গত এক সপ্তাহে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে মোট ১৩ জন নিহত হয়েছেন।
লেবাননের সরকারি বার্তা সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, আল-বাইয়াদ গ্রামের একটি করাতকল লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। ওই সময় দুই ভাই সেখানে কাজ করছিলেন।
অন্যদিকে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র দাবি করেছেন, দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহ সংগঠনের দুই সদস্যকে তারা হত্যা করেছে। তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, নিহতরা সেখানে ‘সন্ত্রাসী অবকাঠামো’ পুনর্গঠনের কাজ করছিল।
ইসরায়েলের বিমানবাহিনী সাম্প্রতিক সময়ে হামলা জোরদার করেছে। তারা বলছে, এসব হামলা হিজবুল্লাহ সদস্য ও তাদের স্থাপনা লক্ষ্য করে চালানো হচ্ছে। যদিও লেবাননে ২০২৪ সালের নভেম্বরে একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে।
লেবাননের নেতারা অভিযোগ করেছেন, ইসরায়েল ইচ্ছাকৃতভাবে দক্ষিণাঞ্চলে পুনর্গঠন কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করছে। গত বছরের যুদ্ধের ধ্বংসযজ্ঞের পর যেসব স্থাপনা পুনর্নির্মাণ করা হচ্ছিল—সেগুলোর যন্ত্রপাতি যেমন এক্সকাভেটর ও বুলডোজারকেও লক্ষ্যবস্তু বানানো হচ্ছে।
এদিকে জাতিসংঘ ও ফ্রান্স দক্ষিণ লেবাননে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর (ইউনিফিল) কাছাকাছি ইসরায়েলি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। এই হামলার আগে শান্তিরক্ষীরা একটি ‘আক্রমণাত্মক’ ইসরায়েলি নজরদারি ড্রোন নিষ্ক্রিয় করে।
জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টেফান দ্যুজারিক জানান, রবিবারের ঘটনায় আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। একটি ইসরায়েলি ড্রোন ইউনিফিলের টহলের কাছাকাছি গ্রেনেড ফেলে। পরে একটি ইসরায়েলি ট্যাংকও কফর কিলা এলাকায় শান্তিরক্ষীদের দিকে গুলি ছোড়ে।
ইউনিফিল বাহিনী লেবানন সেনাবাহিনীর সঙ্গে মিলে হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যকার যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে কাজ করছে। শান্তিচুক্তির পরও ইসরায়েল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ।
