ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের ভূমিধস বিজয় ভারতের নীতিনির্ধারকদের মনে গভীর উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সাফল্য কেবল ছাত্র রাজনীতিতেই নয়, মূলধারার রাজনীতিতেও জামায়াতে ইসলামীকে পুনরুজ্জীবিত করার পথ খুলে দিতে পারে, যা ভারতের নিরাপত্তা ও কৌশলগত স্বার্থের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।
ভারতের সাবেক পররাষ্ট্রসচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লির ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার আয়োজিত ‘আমরা কি বাংলাদেশের নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত?’ শীর্ষক আলোচনায় স্পষ্ট সতর্কবার্তা দেন।
তিনি বলেন, ভারত প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে, বিশেষ করে বাংলাদেশের সঙ্গে, সহযোগিতামূলক সম্পর্ক বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকলেও, যদি ক্ষমতায় এমন কোনো শক্তি আসে যারা ভারতের মূল স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করে, তবে সতর্ক থাকা ছাড়া উপায় নেই।
শ্রিংলা জামায়াতে ইসলামী প্রসঙ্গে বলেন, ‘চিতা’ কখনো তার লক্ষ্য হারায় না। অর্থাৎ অতীতে যাদের কর্মকাণ্ড ভারতের জন্য শঙ্কার কারণ ছিল, ভবিষ্যতেও তাদের কাছ থেকে ইতিবাচক পরিবর্তনের আশা করা ভুল হবে।
তিনি আরও বলেন, ক্ষমতায় যেই আসুক আমরা তার সঙ্গে কাজ করব, এটি ঠিক আছে। কিন্তু যদি সেই কেউ আপনার স্বার্থবিরোধী কাজ করে, তবে আপনাকে অবশ্যই প্রস্তুত থাকতে হবে।
ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করা শ্রিংলার বক্তব্য দিল্লির কূটনৈতিক মহলে তীব্র সাড়া ফেলেছে। অনেকেই মনে করছেন, জামায়াতের ছাত্রসংগঠনের এই বিজয় আসন্ন ফেব্রুয়ারি ২০২৬ সালের সাধারণ নির্বাচনের প্রেক্ষাপট পাল্টে দিতে পারে।