ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য নীতি নিয়ে কড়া সমালোচনা করেছেন। সোমবার (১৩ অক্টোবর) এক্স -এ দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, ট্রাম্প কখনোই শান্তির প্রতীক হতে পারেন না, যখন তিনি নিজেই যুদ্ধের উসকানি দিচ্ছেন এবং যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে একত্র হচ্ছেন।
আরাঘচি ট্রাম্পের সাম্প্রতিক দাবিকে (পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির কাছ থেকে ইরান কয়েক সপ্তাহ দূরে ছিল) বড় মিথ্যা বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, ট্রাম্প প্রশাসনকে ইসরায়েলি স্বার্থগোষ্ঠী মিথ্যা গোয়েন্দা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করছে। যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব গোয়েন্দা সংস্থাগুলিও এমন কোনো প্রমাণ দেয়নি যে ইরান অস্ত্র তৈরির পথে ছিল।
তিনি আরও বলেন, ট্রাম্প ক্ষমতায় এসেছিলেন এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে যে, তিনি ইসরায়েলের প্রতারণার রাজনীতি ও আমেরিকার ‘চিরস্থায়ী যুদ্ধ’ থেকে মুক্তি দেবেন। কিন্তু এখন তিনি নিজেই যুদ্ধের উসকানি দিচ্ছেন।
আরাঘচি ইসরায়েলকে উদ্দেশ করে বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের প্রকৃত দাদাগিরি করে সেই পরজীবী শক্তি, যে বহু বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রকে শোষণ করছে।
ইরানি মন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক ইরানবিরোধী বিমান হামলারও নিন্দা করেন, যেখানে এক হাজারেরও বেশি সাধারণ মানুষ নিহত হন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, যে হাত কয়েক মাস আগে ইরানের শহরগুলোতে বোমা ফেলেছিল, সেই হাতকে কীভাবে আমরা শান্তির প্রতীক হিসেবে দেখবো?
আরাঘচি স্পষ্ট করে বলেন, একজন মানুষ একসঙ্গে যুদ্ধের প্রেসিডেন্ট ও শান্তির প্রেসিডেন্ট হতে পারেন না।
তিনি বলেন, ইরান সম্মানজনক ও পারস্পরিক স্বার্থভিত্তিক কূটনৈতিক আলোচনায় উন্মুক্ত থাকবে, তবে কোনো হুমকি বা জবরদস্তি মেনে নেবে না।
আরাঘচি আরও যোগ করেন, ইরান একটি প্রাচীন ও সভ্য জাতির উত্তরাধিকারী। আমরা যেমন সদিচ্ছার জবাব সদিচ্ছায় দিই, তেমনি অন্যায় ও আগ্রাসনের জবাব প্রতিরোধের মাধ্যমে দিতে জানি—যেমন তেল আবিবের যুদ্ধবাজরা এরই মধ্যে বুঝে গেছে।”