ফিলিস্তিনের গাজায় নৃশংস হামলার পাশাপাশি ইসরায়েলি অবরোধের কারণে খাবার-পানির মতো জরুরি পণ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এতে চরম দুর্দশায় রয়েছেন উপত্যকার বাসিন্দারা। অসহায় এই মানুষগুলোর কাছে যদি ত্রাণ না পৌঁছায়, তাহলে ৪৮ ঘণ্টায় গাজায় ১৪ হাজার শিশুর মৃত্যু হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবিক কার্যক্রমবিষয়ক প্রধান টম ফ্লেচার। গণহত্যার অমানবিক চিত্রে বিবর্ণ ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ড। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া লাগাতার ইসরায়েলি হামলায় মঙ্গলবার (২০ মে) পর্যন্ত নিহত হয়েছেন অন্তত ৫৩ হাজার ৫৭৩ জন ফিলিস্তিনি।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বহু লাশ এখনো ধ্বংসস্তূপে কিংবা রাস্তায় পড়ে আছে। ইসরায়েলি হামলার তীব্রতা এবং সড়ক অবরোধের কারণে উদ্ধারকর্মীরা সেখানে পৌঁছাতে পারছেন না।
গত ১৮ মার্চ ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির সমঝোতা ভেঙে ফের পূর্ণমাত্রায় হামলা শুরু করে। এরপর থেকে নতুন করে প্রাণ হারিয়েছেন ৩ হাজার ৪২৭ জন ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন ৯ হাজার ৬৪৭ জন।
এর আগে জানুয়ারিতে স্বল্পমেয়াদি একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছিল। ওই সময় বন্দি বিনিময় হলেও তা স্থায়ী হয়নি।
এদিকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গত বছর নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গালান্তের বিরুদ্ধে।
এ ছাড়া গাজায় গণহত্যার অভিযোগে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) দক্ষিণ আফ্রিকার করা একটি মামলাও চলমান রয়েছে।