শুল্ক নীতির ক্ষেত্রে ট্রাম্পের চীনের প্রতি পক্ষপাতিত্বেরও সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘এটি একটি বড় ভুল হতে পারে।’
এপ্রিলে ট্রাম্প চীনের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত বাণিজ্যযুদ্ধে লিপ্ত হন, তবে পরে চুক্তির অপেক্ষায় বাকি উত্তেজনা বন্ধ রেখেছেন। একই সময়ে ভারতের ওপর ৫০ শতাংশের বেশি শুল্ক আরোপ করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে রাশিয়ার যুদ্ধযন্ত্রকে অর্থায়ন করার অভিযোগে ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক।
বোল্টন বলেছেন, এই শুল্কের ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ‘সবচেয়ে খারাপ ফল’ এসেছে, কারণ ভারত প্রত্যাশিতভাবেই ‘খুব নেতিবাচক’ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে; বিশেষ করে যখন দেখা গেছে চীনের ওপর কোনো শুল্ক আরোপ হয়নি।
মার্কিন বিদেশনীতি বিশেষজ্ঞ ক্রিস্টোফার পাডিল্লাও সতর্ক করেছেন, এই শুল্ক নীতি দীর্ঘমেয়াদে ভারত-আমেরিকা সম্পর্কের জন্য ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে। তিনি বলেন, শুল্ক নীতির প্রভাব দীর্ঘদিন স্মৃতিতে থাকবে এবং ভবিষ্যতে ভারত যুক্তরাষ্ট্রকে একটি বিশ্বাসযোগ্য অংশীদার হিসেবে দেখতে নাও পারে।
বোল্টন আগে একটি অপ-এডে লিখেছিলেন, ট্রাম্পের চীনের প্রতি নমনীয়তা ও দিল্লির প্রতি কঠোরতা মার্কিন কৌশলগত স্বার্থের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তিনি বলেন, ‘হোয়াইট হাউস হয়তো পেকিংয়ের প্রতি দিল্লির তুলনায় শুল্ক ও অন্যান্য ক্ষেত্রে বেশি নমনীয়তা দেখাচ্ছে, যা একটি বড় ভুল হতে পারে।’