মার্কিন প্রেসিডেন্টদের বিমান এয়ারফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি দেখা করতে চাই। যদি কেউ বার্তা পৌঁছে দিতে চান, জানিয়ে দিন—আমি রাজি আছি।
তিনি আরো বলেন, ‘আমার সঙ্গে কিমের সম্পর্ক খুব ভালো ছিল।’
বিশ্ব মঞ্চে মূলত বিচ্ছিন্ন একটি গোপন কমিউনিস্ট রাষ্ট্র উত্তর কোরিয়া। এর আগে ‘ছোট রকেট ম্যান’ বলে কিমকে কটূক্তিও করেছিলেন ট্রাম্প।
তবে সেই কিমের সঙ্গে হাত মেলাতে ২০১৯ সালে প্রথম কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে উত্তর কোরিয়ার ভূখণ্ডে পা রেখে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন ট্রাম্প।
এই সফরে ট্রাম্পের চীনা প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক হওয়ারও কথা রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধ ও শুল্কসংক্রান্ত আলোচনাই হবে তাদের বৈঠকের মূল এজেন্ডা।
দক্ষিণ কোরিয়ার একীকরণ মন্ত্রী চুং দং-ইয়ং জানিয়েছেন, ট্রাম্প ও কিমের বৈঠক হওয়ার ‘উল্লেখযোগ্য সম্ভাবনা’ রয়েছে। যদিও মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, ট্রাম্পের নির্ধারিত সূচিতে এমন কোনো বৈঠকের উল্লেখ নেই।
তবে ২০১৯ সালে দুই নেতার শেষ সাক্ষাৎও এসেছিল ট্রাম্পের এক আকস্মিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আমন্ত্রণের মাধ্যমে।
কিম জং উন সম্প্রতি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি ‘অযৌক্তিকভাবে’ উত্তর কোরিয়াকে নিরস্ত্রীকরণের দাবি না তোলে, তবে তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে পুনরায় দেখা করতে রাজি।
দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভাষণে কিম বলেন, ‘আমার এখনো প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ভালোভাবে মনে আছে।
অন্যদিকে ট্রাম্পও বলেন, ‘আমি মনে করি উত্তর কোরিয়া এখন এক ধরনের পারমাণবিক শক্তি। তাদের হাতে যথেষ্ট পরিমাণে অস্ত্র আছে, এটা আমি বলতেই পারি।’
