যুদ্ধ বন্ধের ঘোষণা ছাড়াই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষ হয়েছে। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত দেড়টায় যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা অঙ্গরাজ্যের এলমেনডর্ফ-রিচার্ডসন সামরিক ঘাঁটিতে ট্রাম্প-পুতিন দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শুরু হয়। দীর্ঘ সাড়ে তিন ঘণ্টার আলোচনার পর দুই নেতা যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন। খবর বিবিসি’র।
বৈঠকের মূল কেন্দ্র ছিল ইউক্রেন যুদ্ধ। পুতিন বলেন, ‘একটি স্থায়ী ও দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য আমাদের এ সংঘাতের মূল কারণগুলো নিরসন করতে হবে।’ তবে তিনি নির্দিষ্টভাবে সেই কারণগুলো উল্লেখ করেননি।
রুশ প্রেসিডেন্ট আশা প্রকাশ করেন, ইউক্রেনীয় ও ইউরোপীয়রা শান্তি প্রক্রিয়ায় বাধা না দিয়ে এগিয়ে আসবেন। তিনি বলেন, ‘শুভ কামনার স্বর প্রকাশের জন্য আমি ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। উভয়পক্ষকেই ফলাফলকেন্দ্রিক হওয়া উচিত।’
ট্রাম্প প্রসঙ্গে পুতিন বলেন, তিনি নিজের দেশের সমৃদ্ধি নিয়ে মনোযোগী হলেও রাশিয়ার স্বার্থও রয়েছে, সেটি ট্রাম্প বুঝেছেন।
যৌথ সংবাদ সম্মেলনে প্রথমে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার ভৌগোলিক নৈকট্যের কথা উল্লেখ করেন পুতিন। তিনি বলেন, ‘রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দূরত্ব মাত্র চার কিলোমিটার। আমরা আসলে খুব কাছের প্রতিবেশী। এটাই বাস্তবতা।’
অঙ্গরাজ্যের এলমেনডর্ফ-রিচার্ডসন সামরিক ঘাঁটিতে দুজনের মধ্যে করমর্দনের সময় ট্রাম্পকে ‘হ্যালো, প্রতিবেশী’ বলে সম্বোধন করার কথাও জানান রুশ প্রেসিডেন্ট।
সংবাদ সম্মেলেনে পুতিন আলাস্কার ইতিহাসও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আলাস্কা একসময় রাশিয়ার অংশ ছিল। যা ১৮০০-এর মাঝামাঝি সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বিক্রি করা হয়। এখনো আলাস্কায় রাশিয়ান অর্থোডক্স চার্চ রয়েছে। যা দুই দেশের ঐতিহাসিক সম্পর্কের প্রতীক বলে মন্তব্য করেন তিনি।