আবারও মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে এটি ছিল দ্বিতীয় দফার বিক্ষোভ। রবিবার বিকালে আম্পাং পার্ক এলআরটি স্টেশনের বাইরে বিক্ষোভ করেন শতাধিক তরুণ-তরুণী, যা নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
এদিন বিকাল পাঁচটার পর স্টেশনের সামনে জড়ো হওয়া বিক্ষোভকারীদের অনেকেই মুখে মুখোশ ও গলায় ফিলিস্তিনের ঐতিহ্যবাহী কেফিয়া পরে ছিলেন। তাদের হাতে ছিল সাম্রাজ্যবাদবিরোধী প্ল্যাকার্ড ও ট্রাম্পবিরোধী ব্যানার। এক পর্যায়ে এক তরুণ উচ্চস্বরে বলেন, এখন জনগণের ট্রাইব্যুনাল অধিবেশন শুরু হয়েছে! এরপরই একযোগে ভেসে ওঠে, ‘ফিলিস্তিন মুক্ত করো’ স্লোগান।
বিক্ষোভ চলাকালে ওই এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশের উপস্থিতি দেখা যায়। দাঙ্গাবিরোধী ইউনিটসহ বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য পুরো এলাকাজুড়ে অবস্থান নেন।
এর আগে সকাল থেকেই দাতারান মের্দেকায় আরও একটি ট্রাম্পবিরোধী সমাবেশ শুরু হয়। আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনের আগ মুহূর্তে শত শত মানুষ সেখানে ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানাতে জড়ো হন।
সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা ‘ট্রাম্প একজন ভণ্ড’, ‘ট্রাম্প একজন মিথ্যাবাদী’ স্লোগান দেন ও ইসরায়েলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের তীব্র নিন্দা জানান। অনেকেই পরিবারের সদস্যসহ উপস্থিত ছিলেন, যারা গলায় কেফিয়া পরে ও হাতে ফিলিস্তিনের পতাকা উড়িয়ে সংহতি জানান।
বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন পিকেআরের সাবেক সিনিয়র নেতা জুরাইদা কামারুদ্দিন, চুয়া তিয়ান চ্যাং ও পেজুয়াং পার্টির নিজাম মাহশার।
৩৮ বছর বয়সী গোম্বাকের এক অংশগ্রহণকারী ইকমাল বলেন, আমরা চাই ট্রাম্প বিশ্ববাসীর ফিলিস্তিন সংহতি নিজের চোখে দেখুক। যুক্তরাষ্ট্র যেন ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে আর সহযোগিতা না করে।
দাতারান মের্দেকার পাশেই স্থানীয় আইসক্রিম বিক্রেতা সিয়াওয়াল বলেন, আমি ফিলিস্তিনের পক্ষে, তবে আসিয়ান সম্মেলনের মতো আন্তর্জাতিক ইভেন্টে এমন বিক্ষোভ আমাদের দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে পারে।
পুলিশ জানিয়েছে, কুয়ালালামপুর কনভেনশন সেন্টারের আশপাশের এলাকা ‘রেড জোন’ ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি আম্পাং পার্ক এলাকায় সমাবেশ না করার জন্য সতর্কতা দেওয়া হয়েছে। রবিবার সকাল সাতটা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত কেএলসিসি, কনলে ও আম্পাং পার্কসহ কয়েকটি এলআরটি ও এমআরটি স্টেশন সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হবে। সূত্র: মালয় মেইল, আল-জাজিরা
