ভারত-পাকিস্তান দুই দেশের যুদ্ধবিরতির খবরে স্বস্তির নিঃশ্বাস নেমে এসে আন্তর্জাতিক মহলে।তবে যুদ্ধবিরতির ঘোষণার মাত্র তিন ঘণ্টা পরই ফের সীমান্তে উত্তেজনার খবর পাওয়া গেল। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানা যায়, ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের শ্রীনগরসহ একাধিক জায়গায় গোলাগুলির শব্দ পেয়েছে সেখানকার বাসিন্দারা। যদিও যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের বিষয়ে ভারত ও পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিস্রি অভিযোগ তুলে সাংবাদিকদের বলেন, পাকিস্তান ‘পুনঃপুন যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন’ করছে। এ অবস্থায় ভারতীয় সেনাবাহিনীকে যেকোনো ‘অবিরত লঙ্ঘনের’ জবাবে কঠোরভাবে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে দাবি করেছে, তারা এখনো যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রতি ‘পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’। একই সঙ্গে পাকিস্তান বলছে, ভারতই প্রকৃতপক্ষে সংঘর্ষ শুরু করেছে।
দুই দেশের সীমান্ত এলাকা নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) বরাবর চলমান সংঘাতে ইতোমধ্যেই দুই পক্ষ মিলিয়ে অন্তত ৬০ জন নিহত হয়েছেন বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর দাবি।
এর মধ্যে বেশিভাগ হতাহতের ঘটনা ঘটে ভারতীয় সেনাবাহিনীর চালানো ‘অপারেশন সিন্দূর’-এর সময়। বুধবার (৮ মে) শুরু হওয়া এই অভিযানে ভারত পাকিস্তানভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়।
ভারত দাবি করেছে, গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগামে হামলায় ২৬ জন নিহত হন। দেশটির নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর মতে, এই হামলায় পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর জড়িত থাকার প্রমাণ রয়েছে। এর প্রতিশোধ হিসেবেই ‘অপারেশন সিন্দূর’ চালানো হয়েছে।
তবে পাকিস্তান এ হামলায় সম্পৃক্ততার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, যুদ্ধবিরতির ঘোষণা স্বাগতযোগ্য হলেও বাস্তব পরিস্থিতি বলছে, এলওসি বরাবর উত্তেজনা এখনো কাটেনি। নতুন করে বড় ধরনের সামরিক সংঘর্ষের আশঙ্কাও একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।