ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু শনিবার বলেছেন, হামাসের হাতে জিম্মি ইসরায়েলিদের কয়েক দিনের মধ্যেই ঘরে ফিরিয়ে আনতে পারবেন বলে আশা করছেন তিনি। নেতানিয়াহু এমন সময় এ কথা বলেছেন যখন গাজা যুদ্ধের অবসানের লক্ষ্যে আরও বিশদ আলোচনার জন্য মিসরের রাজধানী কায়রোর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন প্রতিনিধিরা।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সতর্ক করে বলেছেন, যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে পুরোপুরি রাজি হওয়ার ক্ষেত্রে তিনি হামাসের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের বিলম্ব সহ্য করবেন না।
এর আগে হামাস ঘোষণা দিয়েছিল, মার্কিন শান্তি পরিকল্পনা প্রস্তাব অনুযায়ী, তারা সব জিম্মিকে মুক্তি দেবে। ট্রাম্প হামাসের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং ইসরায়েলকে গাজায় হামলা থামাতে বলেছেন।
তবে এরপরও শনিবার ইসরায়েল গাজায় হামলা চালিয়েছে। গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থার মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেন, এসব হামলায় অন্তত ৫৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
নেতানিয়াহু স্থানীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে বলেছেন, ‘সামরিক ও কূটনৈতিক চাপের মুখে জিম্মিদের মুক্তি দিতে রাজি হয়েছে হামাস।
নেতানিয়াহু আরও বলেন, ‘আমি আশা করছি আগামী কয়েক দিনে আমরা আমাদের সব জিম্মিকে দেশে ফিরিয়ে আনতে পারব।’
আগামীকাল সোমবার থেকে ইহুদিদের সুক্কোত উৎসব শুরু হতে যাচ্ছে, যা এক সপ্তাহ চলবে। এই উৎসবের মধ্যেই জিম্মিদের ঘরে ফিরাতে পারবেন বলে আশাবাদী নেতানিয়াহু।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, তিনি তাঁর প্রতিনিধিদের কৌশলগত বিস্তারিত বিষয়ে চূড়ান্ত আলোচনার জন্য মিসরে পাঠিয়েছেন। অন্যদিকে মিসরের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে যে, হামাসের একটি প্রতিনিধি দলও আলোচনার জন্য সেখানে উপস্থিত হবে। ট্রাম্পের প্রস্তাব অনুযায়ী সেখানে বন্দী বিনিময়ের ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা হবে।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ট্রাম্প শনিবার দুজন কূটনীতিক মিসরে পাঠিয়েছেন। তারা হলেন— তার ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনার এবং তাঁর মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ।