ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় আরও ৩০ ফিলিস্তিনির মরদেহ ফেরত পাঠিয়েছে দখলদার ইসরায়েল। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) রেডক্রসের মাধ্যমে গাজার হাসপাতালে এসব মরদেহ হস্তান্তর করে ইসরায়েল। এরমাধ্যমে যুদ্ধবিরতির পর ইসরায়েল থেকে গাজায় আসা মৃতদেহের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২০ জনে।
গত শনিবার থেকে সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর। এরপর সোমবার ২০ জীবিত জিম্মির সবাইকে মুক্তি দেয় হামাস। সঙ্গে এখন পর্যন্ত ৯ থেকে ১০ ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ ফেরত দিয়েছে তারা।
যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুযায়ী, হামাস ১ জিম্মির মরদেহ ফেরত দিলে ইসরায়েল ১৫ ফিলিস্তিনির মরদেহ ফেরত দেবে।
গতকাল বুধবার রাতে নতুন করে আরও দুই ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করে স্বাধীনতাকামী এ সশস্ত্র গোষ্ঠী। তারা জানিয়েছে, যেসব জিম্মির মরদেহ ছিল তাদের সবাইকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
এখনো যেসব জিম্মির মরদেহ রয়ে গেছে সেগুলো খুঁজে বের করতে হলে ভারী ও অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি এবং ‘প্রচেষ্টা’ লাগবে।
সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, সব জিম্মির মরদেহ যে হামাস ফেরত দিতে পারবে না সেটি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুসহ অন্যরা জানত। কারণ ইসরায়েল গাজায় এতই ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে যে, ওই জিম্মিদের সমাধিস্থলের চিহ্ন হারিয়ে গেছে। অথবা সেগুলো ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও জানিয়েছেন, হামাস এখন জিম্মিদের মরদেহ খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করছে। তিনি বলেছেন, অনেক মরদেহ ধ্বংসস্তূপের নিচে আছে, অনেকগুলো সুড়ঙ্গের ভেতর। হামাস সব মরদেহ খুঁজে খুঁজে বের করছে এবং ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ থাকলে সেটি আলাদা করছে।