ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান। ‘ফাত্তাহ’ নামের ওই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভেদ করে সফলভাবে প্রবেশ করেছে বলে দাবি করেছে ইরান। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এ ধরনের কোনো হামলার কথা স্বীকার করেনি।
এদিকে সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, ইরানের ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা ইসরায়েলের দিকে সেজ্জিল-২ কঠিন জ্বালানিযুক্ত মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। ট্রু প্রমিজ-৩-এর অংশ হিসেবে ১৩তম বার অতি ভারী, দীর্ঘ পাল্লার, সেজ্জিল-২ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের মাধ্যমে শুরু হয়েছে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
এর আগে ২০২৪ সালের ১ অক্টোবর ইসরাইলে ইরানের আক্রমণের সময় তারা কয়েক ডজন ‘ফাত্তাহ-১’ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। ‘ফাত্তাহ’ ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রথম ২০২৩ সালে উন্মোচিত হয়েছিল এবং ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আলী খামেনি এর নামকরণ করেছিলেন।
আইআরজিসি ক্ষেপণাস্ত্রটিকে ‘ইসরাইল-স্ট্রাইকার’ হিসেবে উল্লেখ করেছে এবং এর উন্মোচনের সময়, ইরানের রাজধানী তেহরানে একটি বড় ব্যানার স্থাপন করা হয়েছিল, যেখানে হিব্রু ভাষায় লেখা ছিল, ‘তেল আবিবে ৪০০ সেকেন্ড।’
যদিও আইআরজিসি দাবি করে যে, ফাত্তাহ হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র, তবে সামরিক বিশেষজ্ঞরা এর প্রকৃত হাইপারসনিক ক্ষমতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন।
শুক্রবার (১৩ জুন) থেকে শুরু হওয়া ইরান ও ইসরায়েলের পালটা-পালটি হামলা ভয়াবহ সংঘাতে রূপ নিয়েছে। উভয় দেশই একে অন্যকে লক্ষ্য করে ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা চালাচ্ছে। এতে দুই দেশেরই বহু মানুষ হতাহত হয়েছেন।