সোমবার (৮ মে) মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
ইয়ানাকুইহুয়া মাইনিং কোম্পানি এক বিবৃতিতে বলেছে, দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় আরেকুইপা অঞ্চলের একটি খনিতে আগুন লাগার পর প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পর মোট ১৭৫ জন শ্রমিককে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
পেরুর সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে। কিছু সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে ভূপৃষ্ঠের প্রায় ১০০ মিটার (৩৩০ ফুট) গভীরে খনির একটি অংশে শর্ট সার্কিট থেকে বিস্ফোরণে এ আগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে এ ঘটনার পর নিহতদের স্বজনদের বাসে করে আরেকুইপা অঞ্চলের ইয়ানাকিহুয়ায় খনিতে নিয়ে আসা হয়েছিল। এরপর নিরাপত্তা এজেন্টরা তাদের পুরো বিষয়টি জানান। এসময় অনেকে তাদের প্রিয়জনের মৃতদেহের জন্য খনির প্রবেশপথের সামনে বসে অপেক্ষা করছিলেন।
মার্সেলিনা আগুয়েরে নামে এক নারী এপিকে জানান, নিহতদের মধ্যে তার স্বামীও রয়েছেন। তিনি বলেন, তিনি তাকে (স্বামীকে) বলেছিলেন যে খনিতে কাজ করা ঝুঁকিপূর্ণ।
আরেকুইপার ফিসকাল ডিস্ট্রিক্টের পাবলিক মিনিস্ট্রি জানিয়েছে, দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্তকারী কর্মকর্তারা কাজ করছেন। প্রসিকিউটর অফিস মর্মান্তিক এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানিয়েছে।
স্থানীয় মিডিয়া থেকে পাওয়া ছবিতে পাহাড়ি এলাকা থেকে আগুন ও ধোঁয়া বের হতে দেখা গেছে।
খনি সংস্থা ইয়ানাকুইহুয়া বলেছে, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তারা জরুরি তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। সংস্থাটির দাবি, অত্যন্ত দুঃখজনক এ সময়ে আমরা শোকাহত এবং উদ্ধারকৃত খনি শ্রমিকদের সহায়তাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছি।
পেরু বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম স্বর্ণ উৎপাদক দেশ। দেশটি বছরে ১০০ টনেরও বেশি খনন করে যা সমগ্র বিশ্বের বার্ষিক সরবরাহের প্রায় ৪ শতাংশ।