বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ১৬, ২০২৫
No menu items!
বাড়িআন্তর্জাতিকপাকিস্তান কোন জাদুর বলে ট্রাম্পকে নিজেদের দিকে টেনে আনছে

পাকিস্তান কোন জাদুর বলে ট্রাম্পকে নিজেদের দিকে টেনে আনছে

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ গতকাল বৃহস্পতিবার যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছিলেন, তখন তিনি এমন এক প্রতিশ্রুতি সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন, যা আগে কোনো পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী দেননি।

অনেক বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে পাকিস্তানের কৌশলগত গুরুত্ব মূলত নিরাপত্তা সহযোগী হিসেবে। প্রথমে আফগানিস্তানে সোভিয়েত দখলদারত্বের সময় এবং পরে তথাকথিত ‘সন্ত্রাসবিরোধী লড়াই’ চলাকালে।

তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই সম্পর্ক দুর্বল হয়ে গেছে। বিশেষ করে ট্রাম্প নিজে ও মার্কিন নীতিনির্ধারকেরা পাকিস্তানকে ‘বিশ্বাস করা যায় না’ এমন দেশ বলে আখ্যা দেওয়ার পর সম্পর্ক অনেকটা শীতল হয়ে পড়েছিল। কারণ, যুক্তরাষ্ট্র আল–কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনকে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে খুঁজে পেয়েছিল, যা দুই দেশের সম্পর্কে অস্বস্তি তৈরি করেছিল।

তবে চলতি মাসের শুরুতে ইসলামাবাদে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে উচ্চপর্যায়ের এক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি পাকিস্তানের নতুন এক প্রস্তাবের ইঙ্গিত তুলে ধরেছে। ৮ সেপ্টেম্বর সেখানে দুটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়। অনুষ্ঠানে শাহবাজ শরিফ, সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির এবং যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ চুক্তি হলো, যুক্তরাষ্ট্রকে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ ও ‘রেয়ার আর্থ বা বিরল খনিজ পদার্থ’ সরবরাহ করবে পাকিস্তান। এর আগে গত জুলাইয়ে ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে পাকিস্তানের ‘বিশাল তেলের মজুত’ উন্নয়নে তাঁরা কাজ করবেন।

ইতিমধ্যে একটি মার্কিন প্রতিষ্ঠান পাকিস্তানের খনি খাতে ৫০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করছে।

এখন পর্যন্ত পাকিস্তানের এই কৌশল সফল বলেই মনে হচ্ছে। পাকিস্তানকে নিয়ে ট্রাম্পের এমন ইউ–টার্নের বিষয়টি বিশ্লেষকেরাও ভাবেননি। ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতায় ফিরে আগের অবস্থান থেকে সরে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামত করছেন। ২০১৮ সালে তিনি বলেছিলেন, ইসলামাবাদ যুক্তরাষ্ট্রকে ‘মিথ্যা ও প্রতারণা’ ছাড়া আর কিছু দিতে পারেনি।

গত মার্চে কংগ্রেসের ভাষণে ট্রাম্প পাকিস্তানকে ‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তা’র জন্য ধন্যবাদ জানান। তাঁর সেনা কর্মকর্তারাও প্রকাশ্যে পাকিস্তানের প্রশংসা করেছেন।

চলতি বছরের জুনে পাকিস্তান নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রাম্পের নাম প্রস্তাব করে। ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে চার দিনের সংঘাত অবসানে মধ্যস্থতা করার পর পাকিস্তান তাঁর নাম প্রস্তাব করে।

ট্রাম্প পাকিস্তানি পণ্যে মাত্র ১৯ শতাংশ শুল্ক বসিয়েছেন। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে তাদের শুল্কহার সবচেয়ে কম। বিপরীতে ভারতের ওপর শুল্ক ৫০ শতাংশ। প্রথমবারের মতো কোনো পাকিস্তানি সেনাপ্রধানকে (ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির) হোয়াইট হাউসে আতিথ্য দিয়েছেন ট্রাম্প। অথচ তিনি দেশটির রাষ্ট্রপ্রধান নন।

আর শাহবাজ শরিফ হতে যাচ্ছেন ২০১৯ সালের পর প্রথম পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী, যিনি মার্কিন প্রেসিডেন্টের বাসভবনে যাচ্ছেন।

বিশ্লেষকদের মতে, এর পেছনে মূল চালিকা শক্তি হলো পাকিস্তানের খনিজ সম্পদ নিয়ে প্রস্তাব। ওয়াশিংটন শিল্প, প্রতিরক্ষা ও পরিচ্ছন্ন জ্বালানির জন্য অপরিহার্য এসব খনিজের নতুন উৎস খুঁজছে। পাকিস্তান সেই সম্ভাব্য উৎস ও সরবরাহকারী দেশ হতে পারে।

সাবেক এক পাকিস্তানি জেনারেল আল–জাজিরাকে বলেছেন, এটা কেবল অর্থনৈতিক সুযোগ নয়, এটা আসলে ‘কৌশলগত করমর্দন’। ভবিষ্যতে খনিজের মূল উপাদানগুলো কে নিয়ন্ত্রণ করবে, তা নিয়েই এখন লড়াই চলছে। পাকিস্তানের জন্য এটা জাতীয় গর্ব। আর যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বৈশ্বিক সম্পদের রাজনীতিতে দাবার একটি চাল।

আসলে কী চুক্তি হলো

গত এপ্রিলে এক খনিজ সম্মেলনে শরিফ বলেছিলেন, পাকিস্তানের মজুত খনিজ যদি কাজে লাগানো যায়, তবে তা দেশের অর্থনীতিকে রূপান্তর করতে পারবে। তাঁর দাবি, পাকিস্তানের খনিজের মূল্য ‘লাখ কোটি ডলার’। বর্তমানে পাকিস্তানের বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ১৩ হাজার কোটি ডলারের বেশি।

শাহবাজের সেই বক্তৃতার পাঁচ মাস পর মূল চুক্তি হয় সেনাবাহিনী পরিচালিত ফ্রন্টিয়ার ওয়ার্কস অর্গানাইজেশন (এফডব্লিউও) ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড স্টেটস স্ট্র্যাটেজিক মেটালসের (ইউএসএসএম) মধ্যে।

ইউএসএসএম বলছে, তারা লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি থেকে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাত করার কাজ করে এবং কোবাল্ট, নিকেল, তামা ইত্যাদি খনি থেকে খনিজ সম্পদ উত্তোলন করে।

শাহবাজ শরিফের দপ্তরের তথ্যমতে, চুক্তির ফলে পাকিস্তান তাৎক্ষণিকভাবে ‘অবিলম্বে পাওয়া যায় এমন খনিজ’ যেমন—অ্যান্টিমনি, তামা, সোনা, টাংস্টেন ও বিরল খনিজ সম্পদ যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করবে।

এ ছাড়া ভবিষ্যতে পাকিস্তানে একটি বিশেষ পরিশোধনাগার তৈরি করার পরিকল্পনা আছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের বাজারের বাড়তি চাহিদা মেটাবে।

দুই দেশের মধ্যে হওয়া চুক্তির প্রথম ধাপে প্রায় ৫০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করা হবে। পরবর্তী ধাপে নতুন খনিজের উৎস খুঁজে বের করা, উত্তোলন ও প্রক্রিয়াজাতকরণের কাজ চলবে।

তবে বলা চলে, এই সমঝোতা স্মারক বাধ্যতামূলক কোনো খনির লাইসেন্স নয়। এটি মূলত সম্ভাব্য আগ্রহের ইঙ্গিত।

পাকিস্তান সরকারের এক ভূতাত্ত্বিক কর্মকর্তা জানান, মূল লক্ষ্য ‘কৌশলগত খনিজ ও বিরল খনিজ পদার্থ’। তিনি বলেন, এফডব্লিউও ইতিমধ্যেই উত্তর ও দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তান, বেলুচিস্তানের চাগাই বেল্ট ও গিলগিট-বালতিস্তানে কাজ শুরু করেছে।

তবে ওই কর্মকর্তা সতর্ক করে দিয়ে বলেন, খনিজ প্রকল্প দীর্ঘমেয়াদি, সাধারণত ‘৫ থেকে ১৫ বছর’ সময় লাগে। প্রথমে সহজলভ্য খনিজ রপ্তানি, পরে প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা এবং শেষে অনুসন্ধান প্রকল্প চালু করার পরিকল্পনা আছে।

বিরল খনিজ ও গুরুত্বপূর্ণ খনিজ কী

চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তিগত প্রতিযোগিতাই বিশ্বব্যাপী বিরল খনিজের চাহিদা বাড়িয়ে দিয়েছে।

বিরল খনিজ হলো ১৭টি ধাতব উপাদান যা স্মার্টফোন, বৈদ্যুতিক গাড়ি, সেমিকন্ডাক্টর থেকে শুরু করে প্রতিরক্ষাব্যবস্থায় ব্যবহৃত হয়।

নামের কারণে শুনতে যদিও এসব খনিজকে বিরল মনে হয়, আসলে পৃথিবীর ভূত্বকে এসব খনিজ যথেষ্ট পরিমাণে আছে। তবে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকার কারণে উত্তোলন ব্যয়বহুল ও জটিল।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ১৫টি দেশে বিরল খনিজের মজুত রয়েছে বলে উল্লেখ করেছিল। সেই তালিকায় পাকিস্তানের নাম নেই।

পাকিস্তানের খনিজ কোথায়

পাকিস্তান পেট্রোলিয়াম লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মইন রেজা খান অনুমান করছেন, পাকিস্তানের প্রায় এক-চতুর্থাংশ ভূখণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পাওয়ার সম্ভাবনা আছে।

বেশির ভাগ খনিজ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বেলুচিস্তান, খাইবার পাখতুনখাওয়া ও গিলগিট-বালতিস্তানে। এসব অঞ্চল বেশ দুর্গম। সেখানে নিরাপত্তাও বড় সমস্যা।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ হলো বেলুচিস্তানের তামার খনি—সায়দাক ও রেকো ডিক। সায়দাক খনি ১৯৭০-এর দশকে আবিষ্কৃত হয়। আর ২০০০-এর দশকে চীনের প্রতিষ্ঠান এমসিসি বাণিজ্যিকভাবে সেখান থেকে খনিজ উত্তোলন শুরু করে। ২০২৪ সালে এই খনি থেকে রপ্তানি আয় হয়েছে ৮৪ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার।

রেকো ডিককে খনি বিশ্বে অন্যতম বৃহৎ অনাবিষ্কৃত তামা-সোনার খনি বলে ধারণা করা হয়। এখানে প্রচুর তামা–সোনার মজুত রয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এটির উন্নয়নে কাজ করছে কানাডার প্রতিষ্ঠান ব্যারিক মাইনিং।

অনুমান করা হচ্ছে, এই খনিতে প্রায় ১ কোটি ৫০ লাখ টন তামা ও ২ কোটি ৬০ লাখ আউন্স সোনা মজুত রয়েছে।

এক হিসাবে বলা হয়েছে, এই তামা ও সোনার বাজার মূল্য ১৯ হাজার কোটি ডলারের বেশি।

বিশ্লেষকেরা অবশ্য বলছেন, রেকো ডিক ছাড়া পাকিস্তানে সঠিকভাবে প্রমাণিত বড় খনিজ মজুত নেই। এখনো খনিজশিল্প খুব প্রাথমিক স্তরে রয়েছে।

পাকিস্তানের বেলুচিস্তানের এই খনিতে প্রচুর তামা ও সোনা রয়েছে বলা অনুমান করা হচ্ছেফাইল ছবি–রয়টার্স

প্রতিশ্রুতি বনাম বাস্তবতা

সরকার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরকে বড় অর্জন হিসেবে প্রচার করছে। তবে অনেকে বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছেন। অতীতে বহু দাবি পরে ভুল বলে প্রমাণিত হয়েছে।

২০১৯ সালে ইমরান খান ঘোষণা করেছিলেন, আরব সাগরে তেল-গ্যাসের ‘বড় মজুত’ পাওয়া গেছে। কিন্তু কিছুদিন পরই খনন করেও সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।

২০২৪ সালেও একবার পাকিস্তানে বড় গ্যাস মজুতের দাবি উঠেছিল। কিন্তু পরে তার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

এখন প্রশ্ন উঠছে, ইউএসএসএম আসলেই পাকিস্তানের খনি অনুসন্ধান ও খনন কাজের জন্য সক্ষম কি না। কারণ, তারা মূলত ব্যাটারি পুনঃপ্রক্রিয়াজাত করার কাজে দক্ষ।

তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রাথমিক সমঝোতা স্মারক সইয়ের বিষয়টি অন্য বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে পারে।

খনিজ ও ভূরাজনৈতিক ভারসাম্য

এই খনিজ চুক্তি পাকিস্তানের জন্য কূটনৈতিক ভারসাম্যের নতুন পরীক্ষা।

গত এক দশকে চীনের সঙ্গে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সম্পর্ক গভীর হয়েছে, বিশেষ করে চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর (সিপিইসি) প্রকল্পের মাধ্যমে এই সম্পর্ক এগিয়ে চলেছে।

কিন্তু বেলুচিস্তানে চীনের বিনিয়োগ স্থানীয় মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করছেন যে চীন তাঁদের ‘সম্পদ লুট করছে’। বিদ্রোহীরা চীনের প্রকল্পে হামলাও চালিয়েছে।

এখন সেই বেলুচিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ এলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে। তবে কিছু বিশ্লেষকের মতে, এতে হামলাকারীদের আরও বড় ঝুঁকি তৈরি হবে। কারণ, তখন শুধু পাকিস্তান-চীন নয়, যুক্তরাষ্ট্রও তাদের বিরুদ্ধে চলে যাবে।

এ ছাড়া স্থানীয় অর্থনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেলে চীনও লাভবান হতে পারে। কারণ, পাকিস্তান তখন চীনের ঋণ পরিশোধে আরও সক্ষম হবে।

জনগণ, নিরাপত্তা ও রাজস্ব ভাগাভাগি

তবে কেবল বিদেশি অর্থ এলেই হবে না। স্থায়ী পরিবর্তনের জন্য স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হবে।

অবসরপ্রাপ্ত এক ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তা বলেন, সফল হতে হলে সামরিক নিয়ন্ত্রণ থেকে সরে এসে স্থানীয় মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের দিকে নজর দিতে হবে। মালিকানা স্বচ্ছভাবে ভাগাভাগি করতে হবে। আর অবকাঠামো শুধু খনিজ উত্তোলনের জন্য নয়, সাধারণ মানুষের কল্যাণেও ব্যবহার করতে হবে।

এই সাবেক সেনা কর্মকর্তা বলেন, খনিজ সম্পদকে শুধু বিতর্কিত পণ্য না ভেবে জাতীয় ঐতিহ্য হিসেবে দেখা হলেই পাকিস্তান তার মাটির নিচে লুকানো সম্ভাবনাকে ঐক্য, সার্বভৌমত্ব আর আঞ্চলিক প্রভাবের ভিত্তিতে রূপ দিতে পারবে।

Notify of
guest
0 Comments
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
আরো দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ