চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে পাকিস্তানের করাচি বন্দরের সরাসরি কনটেইনার জাহাজ যোগাযোগ চালু হয়েছে। নতুন এই পরিবহনসেবার মাধ্যমে প্রথমবার করাচি থেকে সরাসরি কনটেইনারে পণ্য এনে চট্টগ্রাম বন্দরে খালাস করা হয়েছে। এর আগে পাকিস্তান থেকে পণ্য পরিবহনে তৃতীয় দেশের ওপর নির্ভর করতে হতো। প্রথমবার এ সেবায় ‘এমভি ইউয়ান জিয়ান ফা ঝং’ নামের জাহাজে করে পাকিস্তান থেকে পণ্য আনা হয়।দুই দেশের বাণিজ্যও বিলিয়ন ডলারের কম। তবে সরকারের পটপরিবর্তনের পর হঠাৎ করেই গত মঙ্গলবার পাকিস্তানের করাচি বন্দরের সঙ্গে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার জাহাজপরিষেবা চালু নিয়ে আগ্রহ তৈরি হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বন্দর ছেড়ে যাওয়ার আগে জাহাজটি থেকে ৩৭০ একক কনটেইনার নামানো কাঁচামাল ও ভোগ্যপণ্য। এসব পণ্যের ওজন ছয় হাজার ৩৩৭ টন । পাকিস্তানের ১৮টি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান এসব পণ্য সরবরাহ করেছে। তালিকা অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি আনা হয়েছে টেক্সটাইলসহ বিভিন্ন শিল্পে ব্যবহৃত সোডিয়াম কার্বনেট ৪৬ ৩৫ বা সোডা অ্যাশ, যা রয়েছে ১১৫ কনটেইনারে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আমদানি পণ্য হলো খনিজপদার্থ ডলোমাইট, যা এসেছে কনটেইনারে । এ ছাড়া কনটেইনারে চুনাপাথর এবং ছয় কনটেইনারে ম্যাগনেশিয়াম কার্বোনেট আমদানি করা হয়েছে। এ ছাড়া কাচশিল্পের কাঁচামাল ভাঙাকাচ আনা হয়েছে ১০ কনটেইনারে। শতভাগ রপ্তানিমুখী পোশাকশিল্পের কাঁচামাল কাপড়, রং ইত্যাদি রয়েছে ২৮ কনটেইনারে। একটি কনটেইনারে রয়েছে গাড়ির যন্ত্রাংশ। এসব পণ্য আমদানি করেছে আকিজ গ্লাস কারখানা, নাসির ফ্লোট গ্লাস, প্যাসিফিক জিনস, এক্স সিরামিকস, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ।চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক গণমাধ্যমকে বলেন, জাহাজটি কনটেইনারগুলো নামিয়ে বন্দর ত্যাগ করেছে মঙ্গলবার।
কনটেইনার জাহাজের নতুন যুগ! কী এলো পাকিস্তান থেকে
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 Comments
আরো দেখুন