গাজায় হামাসের হাতে এখনো জিম্মি ইসরায়েলিদের মুক্তি এবং শান্তি চুক্তির পথে ‘একমাত্র বাধা’ দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। জিম্মি ও নিখোঁজ ইসরায়েলি পরিবারের সদস্যদের সংগঠন ‘দ্য হোস্টেজেস অ্যান্ড মিসিং ফ্যামিলিজ ফোরাম’ এই অভিযোগ করেছে।
ফোরামটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছে, গত সপ্তাহে কাতারের রাজধানী দোহায় ইসরায়েলের হামলা থেকে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, ‘প্রতিবার যখনই একটি চুক্তির সম্ভাবনা তৈরি হয়, নেতানিয়াহু তখনই সেটি ভন্ডুল করে দেন।’
গত মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দোহায় বিমান ও ড্রোন হামলা চালায় ইসরায়েল। হামাস জানিয়েছে, এতে তাদের পাঁচ সদস্য এবং কাতারের এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।
গত শনিবার নেতানিয়াহু বলেন, কাতারে হামাস নেতাদের নির্মূল করা গেলে জিম্মিদের মুক্তি ও যুদ্ধের অবসানে প্রধান বাধা দূর হবে। হামাস যুদ্ধবিরতির সব চেষ্টা ভেস্তে দিয়ে গাজা যুদ্ধ আরও দীর্ঘায়িত করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
কাতারে হামলায় সৃষ্ট উত্তেজনাকে কেন্দ্র করে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ইসরায়েল সফরে এসেছেন। সফরে তিনি নেতানিয়াহুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এ হামলার কারণে বিশ্বজুড়ে সমালোচনার মুখে পড়েছে ইসরায়েল।
কাতারে হামলার বিষয়ে নেতানিয়াহুর ব্যাখ্যা ভালোভাবে নেননি জিম্মিদের স্বজনেরা। তাঁরা বলেছেন, জিম্মিদের মুক্ত করতে ব্যর্থ নেতানিয়াহু। এই ব্যর্থতা ঢাকতে নতুন অজুহাত তৈরি করতে তিনি কাতারে হামলা করেছেন।
জিম্মিদের পরিবারের সংগঠনটি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘কাতারে পরিকল্পিত হামলা স্পষ্টভাবে প্রমাণ করেছে যে, ৪৮ জিম্মিকে ফিরিয়ে আনা এবং যুদ্ধ শেষ করার পথে একমাত্র বাধা প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু নিজেই।’
পরিবারগুলো বলছে, ক্ষমতা ধরে রাখতে সময়ক্ষেপণের জন্য নেতানিয়াহু যেসব অজুহাত তৈরি করছেন, সেগুলোর অবসান ঘটানোর সময় এসেছে। নেতানিয়াহুর সময়ক্ষেপণের কারণে ৪২ জিম্মির মৃত্যু হয়েছে। যারা কোনোমতে বেঁচে আছেন তাঁদের জীবনও এখন হুমকির মুখে।