ফুটবলের দলবদলে যে শেষ কথা বলে কিছু নেই, সেটি আরও একবার প্রমাণিত হলো এমিলিয়ানো মার্তিনেজকে দিয়ে। অনেক গুঞ্জন, নাটকীয়তার পরও ক্লাব বদলাতে পারেননি আর্জেন্টাইন এই গোলরক্ষক।
তাঁকে থেকে যেতে হলো অ্যাস্টন ভিলাতেই। এমনকি দলবদলের দুয়ার বন্ধ হওয়ার পর গতকাল রাতে ক্লাবটির হয়ে প্রথমবারের মতো মাঠেও নেমেছেন মার্তিনেজ। তাঁর ফেরার রাতে এভারটনের মাঠে গোলশূন্য ড্র করেছে অ্যাস্টন ভিলা।
এর আগে গত মৌসুমের শেষ দিকে মার্তিনেজের অ্যাস্টন ভিলা ছাড়ার গুঞ্জন সামনে আসে। সেই গুঞ্জন আরও পোক্ত হয় ১৬ মে টটেনহামের বিপক্ষে ২–০ গোলের জয়ের পর ভিলা পার্কের সমর্থকদের সামনে মার্তিনেজ কান্নায় ভেঙে পড়লে। তাঁর এ কান্নাকে অনেকেই ভিলা পার্কে শেষ ম্যাচ খেলে ফেলার ইঙ্গিত হিসেবেই তখন দেখেছিলেন।
ইউনাইটেডে যেতে না পারা মার্তিনেজ এখন কী করবেন
এরপর দিন যতই গড়িয়েছে, মার্তিনেজের ক্লাব ছাড়ার গুঞ্জন তীব্র হয়েছে। আর মৌসুম শেষ হওয়ার পর সবার চোখ ছিল মার্তিনেজের পরবর্তী গন্তব্যের দিকে। এর মধ্যে বেশ কিছু ক্লাবে তাঁর যাওয়ার গুঞ্জনও শোনা যায়। যদিও শেষ পর্যন্ত ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকেই মনে হচ্ছিল মার্তিনেজের পরবর্তী ঠিকানা।
ফলে দলবদলের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সবার দৃষ্টি ছিল মার্তিনেজ–ইউনাইটেড চুক্তির দিকে। কিন্তু শেষ দিন অ্যাস্টন ভিলার অনুশীলন মাঠ বডিমুর হিথে অপেক্ষায় থাকার পরও কাঙ্ক্ষিত ফোনকলটি পাননি মার্তিনেজজ। এখন তাই অন্তত আরও কিছু সময়ের জন্য অ্যাস্টন ভিলার গোলপোস্টেই নিচেই দেখা যাবে তাঁকে। সেই ধারাবাহিকতাতেই গতকাল রাতে আন্তর্জাতিক বিরতি শেষে ভিলার হয়ে মাঠে ফিরেছেন তিনি।
প্রিমিয়ার লিগে এভারটনের বিপক্ষে এ ম্যাচে দারুণ নৈপুণ্যও দেখিয়েছেন মার্তিনেজ। নিজেদের মাঠে এভারটনের দাপট দেখানোর এ ম্যাচে পুরো সময় পোস্টের নিচে দাঁড়িয়ে দুটি গোলও বাঁচিয়েছেন তিনি। ম্যাচ শেষে ইনস্টাগ্রামে গোল বাঁচানোর ছবি দিয়ে মার্তিনেজ লিখেছেন, ‘যখন আমি জার্সির বুকে প্রতীক (ক্লাব বা দেশের ক্রেস্ট/লোগো) পরি, তখন আমি নিজের সর্বস্ব উজাড় করে দিয়েই খেলি।’
ভালোবাসার ভিলায় কাঁদলেন মার্তিনেজ, গন্তব্য অজানা
এ সময় মার্তিনেজের জন্য দলের মধ্যে স্বস্তিদাায়ক পরিবেশ সৃষ্টির তাগিদও দিয়েছেন এমেরিও, ‘আমাদের তাকে রক্ষা করতে হবে। দলের ভেতরে তাকে এমনভাবে জায়গা দিতে হবে, যেন সে স্বস্তি ও আত্মবিশ্বাস অনুভব করে।’