ঘরের মাঠে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে গতকাল হংকংয়ের কাছে ৪–৩ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ। শমিত সোমের গোলে স্কোর ৩–৩ হওয়ার পরও শেষ মুহূর্তে এক গোল হজম করে স্বাগতিকেরা। সেই আফসোসই এখন সবচেয়ে বেশি পোড়াচ্ছে সমর্থকদের।
সাফজয়ী সাবেক গোলকিপার আমিনুল হক মনে করেন, হামজা চৌধুরী আর শমিত সোমদের আগমনে বাংলাদেশের ফুটবলে গতি ফিরেছে। তবে হংকং ম্যাচে গোলকিপার মিতুল মারমাকে কিছুটা নার্ভাস মনে হয়েছে তাঁর। ঢাকার উত্তরায় আজ একটি ক্যাফের উদ্বোধন শেষে বাংলাদেশ–হংকং ম্যাচ নিয়ে এ কথা বলেন আমিনুল।
কাল হংকংয়ের বিপক্ষে হামজার গোলে এগিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু বিরতির আগমুহূর্তেই গোল হজম করে বসে তারা। অনেকটা ফাঁকা রক্ষণ পেয়ে আলতো শটে বল জালে পাঠান এভারটন কামারগো। গোলমুখে তাঁর সঙ্গে ছিলেন আরেক ফরোয়ার্ড সোয়ারেস জুনিয়র।
বাংলাদেশের ডিফেন্ডাররা আক্রমণ ঠেকাতে অনেকটা ওপরে উঠে গিয়েছিলেন। পোস্টের নিচে তখন ছিলেন শুধু মিতুল আর হংকংয়ের দুজন ফরোয়ার্ড। হামজা দৌড়ে গিয়ে জায়গা নেওয়ার আগেই গোলটা করে ফেলেন এভারটন। অথচ বলটা মিতুলের নাগালেই ছিল, শটেও তেমন জোর ছিল না। কিন্তু মিতুল যেন চেয়ে চেয়ে দেখলেন।
ম্যাচ দেখার অভিজ্ঞতা থেকে আমিনুল বলেন, ‘গোলকিপার যদি সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্তটা নিতে পারত, তাহলে হয়তো ফলটা ভিন্ন হতে পারত। আমার মনে হয়েছে, আমাদের গোলকিপার কিছুটা হলেও নার্ভাস ফিল করেছে।’
১৯৯৮ থেকে ২০১০ পর্যন্ত লাল–সবুজ জার্সিতে গোলপোস্ট সামলেছেন আমিনুল। এই সময়ে দেশের হয়ে খেলেছেন পঞ্চাশের বেশি ম্যাচ। হারের পর দলের সমালোচনা নিয়ে তাঁর কথা, ‘আমরা কিন্তু গতানুগতিক কথার মধ্যে আছি। হারলে সবাই কোচকে দোষ দেয়, জিতলে বলে সবাই মিলে জিতেছি। হেরে গেলে সমালোচনা থাকবেই। তবে এটাকে ইতিবাচকভাবেও দেখা যায়।’
হংকংয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরার একাদশ নির্বাচন আর খেলোয়াড় বদল নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে বেশ। তবে আমিনুল কোচকে দায়ী করছেন না। তাঁর কথা, ‘কোচ সব সময়ই চায় তার বেস্ট ইলেভেন খেলাতে। কিন্তু টিম হেরে গেলে দোষটা এসে পড়ে কোচের ঘাড়ে। আসলে সঠিক সময়ে খেলোয়াড়েরা ক্লিক করতে না পারলেই সমস্যা হয়।’