বায়ার্ন মিউনিখ ৩–১ চেলসি
২০১২ সালে আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ইতিহাস গড়েছিল চেলসি। ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখকে টাইব্রেকারে হারিয়ে প্রথমবারের মতো পরেছিল ইউরোপসেরার মুকুট।
তবে এরপর থেকে বায়ার্নের সঙ্গে মুখোমুখি সব ম্যাচেই হেরেছে চেলসি। লন্ডনের ক্লাবটি পারল না আজও। হ্যারি কেইনের জোড়া গোলে চেলসিকে ৩–১ ব্যবধানে হারাল বায়ার্ন।
আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ম্যাচের ২০ মিনিটে বায়ার্ন প্রথম গোলটা পেয়েছে উপহারসূচক। চেলসির সেন্টার–ব্যাক ট্রেভোহ চালোবাহ নিজেদের জালে বল জড়ালে এগিয়ে যায় বাভারিয়ানরা।
কিছুক্ষণ পরেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কেইন। এবার ভুল করে বসেন চেলসির মইসেস কাইসেদো। নিজেদের বক্সে কেইনকে কাইসেদো অযথা ট্যাকল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।
তবে ২৯ মিনিটে মালো গুস্তোর পাস থেকে এক গোল শোধ করে চেলসিকে ম্যাচে ফেরানোর সম্ভাবনা জাগান ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড় কোল পালমার।
অবশ্য দ্বিতীয়ার্ধে চেলসিকে তেমন কোনো সুযোগ দেয়নি বায়ার্ন। মুহুর্মুহু আক্রমণে চেলসির রক্ষণভাগকে কঠিন পরীক্ষায় ফেলে জার্মান চ্যাম্পিয়নসরা। এর ফল পায় ৬৩ মিনিটে। চেলসির মালো গুস্তো ভুলবশত পাস দেন কেইনকে। সুযোগটা হাতছাড়া করেননি ইংলিশ স্ট্রাইকার।
আবার ‘লাস্ট মিনিট শো’, জন্মদিনের রাতে স্লটকে জয় উপহার ফন ডাইকের
এই গোলে নতুন এক কীর্তিও গড়েছেন কেইন। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও নেইমারের পর তৃতীয় ফুটবলার হিসেবে চ্যাম্পিয়নস লিগে দুটি ক্লাবের হয়ে ২০টির বেশি গোল করেছেন কেইন।
রোনালদো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও রিয়াল মাদ্রিদ, নেইমার বার্সেলোনা ও পিএসজির হয়ে ২০টির বেশি গোল করেছেন। কেইন করলেন টটেনহাম ও বায়ার্নের হয়ে।
শেষ দিকে বায়ার্নের জাল কাঁপিয়ে চেলসিকে আরেকবার ম্যাচে ফেরানোর আভাস দিয়েছিলেন পালমার। কিন্তু অফসাইডের কারণে তাঁর গোল বাতিল হয়ে যায়।
পিএসজির চারজনের চার গোল
বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বলে কথা! শুরুটা যেমন হওয়ার কথা, তেমনই হলো।
নিজেদের মাঠ পার্ক দে প্রিন্সেসে আতালান্তাকে গোলের মালা পরাল পিএসজি, জিতল ৪–০ ব্যবধানে।
পিএসজির গোল চারটি করেছেন ভিন্ন চারজন। ম্যাচের ৩ মিনিটেই শুরুটা করেছিলেন অধিনায়ক মার্কিনিওস। ৩৯ মিনিটে খিচা কাভারাস্কেইয়া আতালান্তার জাল কাঁপালে দুই গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় প্যারিসিয়ানরা।
দ্বিতীয়ার্ধে পিএসজি করে আরও দুই গোল। ৫১ মিনিটে আতালান্তার যন্ত্রণা বাড়ান নুনো মেন্দেস। আর বদলি নেমে যোগ করা সময়ে ইতালিয়ান ক্লাবটির ‘কফিনে শেষ পেরেক’ ঠুকে দেন গনসালো রামোস।