অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহার কন্যা হওয়ায় নেপোটিজম অর্থাৎ বলিউডের স্বজনপোষণ নিয়ে একাধিকার রোষানলে পড়তে হয়েছে সোনাক্ষী সিনহাকে। তবে সেসময়ে নীরবতাই মেনে চলেছেন অভিনেত্রী। তবে এবার যখন স্বজনপোষণ নিয়ে নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে, তখনই রীতিমতো চাঁচাছোলা জবাব দিয়েছেন ‘দাবাং গার্ল’।ভারতীয় সংবাদমাধ্যম থেকে জানা গেছে, এক বিজ্ঞাপনী ভিডিওর মাধ্যমে স্বজনপোষণ বিতর্ককে বিদ্রুপ করলেন সোনাক্ষী সিনহা।
ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যম জানিয়েছে, বলিউডে স্বজনপোষণ বিতর্ক নতুন নয়! সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির খান-কাপুর সাম্রাজ্যের পরিবারতন্ত্রকে বেঁধে একাংশের বিরাগভাজন হয়েছিলেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রনৌত।তারপর থেকেই ‘নেপোটিজম’ প্রসঙ্গ বারবার ঘুরপাক খেয়েছে বলিউডের অন্দরে; যার শিকার শত্রুঘ্ন কন্যা সোনাক্ষীও। তাই এই অভিনেত্রী এবার চলচ্চিত্র জগতের স্বজনপোষণের বিষয়ে নিজের মতকে ভিন্নভাবে তুলে আনলেন।
সম্প্রতি ধনতেরাস উপলক্ষে এক অনলাইন শপিং সাইটের জন্য বিজ্ঞাপনী ভিডিও শুট করেছেন সোনাক্ষী।
সেখানে দেখানো হয়েছে, গর্ভাবস্থা থেকেই অভিনেত্রীর মুখে সোনার চামচ। শৈশবেও সেই ‘গোল্ডেন স্পুন’ মুখে নিয়েই বেড়ে উঠেছে সে। সময়ে সময়ে সেই চামচের পড়ে যাওয়া ধুলোর স্তরও পরিষ্কার করতে দেখা যায় অভিনেত্রীকে। এমনকি, ওই সোনার চামচ মুখে নিয়েই ‘দাবাং’ সিনেমার সুপারহিট সংলাপ বলতে শোনা যায় সোনাক্ষীকে– ‘থাপ্পড় সে ডর নেহি লাগতা সাহাব, প্যায়ার সে লাগতা হ্যায়।
’কৌতুকরসে মোড়া এই বিজ্ঞাপনের ছত্রে ছত্রে যে নেপোটিজম বিতর্ককে ব্যঙ্গ করা হয়েছে, সেটি দেখলেই বেশ বোঝা যায়। সোনাক্ষীর এই বিজ্ঞাপনী ভিডিওই আপাতত নেট দুনিয়ার চর্চার শিরোনামে। কারণ, এক দৃশ্যে নিন্দুকদের ‘চড় কষিয়ে’ অভিনেত্রীর সংলাপ, ‘জন্মের সঙ্গেই সোনার সোনাপ্রাপ্তি ঘটেছে। আপনারা নিজেদেরটা দেখে নিন।’ধনতেরাস উপলক্ষে সোনা-রুপার মতো বহু মূল্যবান ধাতব মুদ্রা কেনার প্রচলন রয়েছে; যা কিনা বর্তমানে বিভিন্ন অনলাইন শপিং সাইটেও পাওয়া যাচ্ছে।তার বিজ্ঞাপন করতে গিয়েই নেপোটিজম বিতর্ককে ব্যঙ্গ করেছেন অভিনেত্রী। সোনাক্ষীর এমন সাহসী ‘আত্ম-প্যারোডি’তে দর্শক-অনুরাগীরাও প্রশংসা করেছেন।