যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে চলা ‘নো কিংস’ প্রতিবাদে সমর্থন জানাচ্ছেন হলিউডের বড় তারকারা। দেশটির ৫০টি রাজ্যে একযোগে প্রতিবাদে নেমেছেন সাধারণ মানুষ। প্রধানত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের বিরুদ্ধেই এ প্রতিবাদ। প্রতিবাদীরা মূলত মার্কিন অভিবাসন ও শুল্কবিষয়ক দপ্তরের (আইসিই) বিরুদ্ধে সোচ্চার। আইসিইর বিরুদ্ধে অভিযোগ, গত কয়েক মাসে তাদের অভিযানে হয়রানির শিকার হয়েছেন অনেক মানুষ।
সুপারহিরো অভিনেতা মার্ক রাফালো তাঁর থ্রেডস অ্যাকাউন্টে আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে লিখেছেন, ‘মিনিয়াপোলিস, ফিলাডেলফিয়া ও নিউইয়র্ক সিটিতে প্রতিবাদকারীরা অংশ নিচ্ছে। অসাধারণ! অনেকেই দেশকে ভালোবাসে আর এখানে কোনো “রাজা” চায় না।’
জিমি কিমেলের সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরোধ পুরোনো। কিছুদিন আগেই তাঁর অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। নিজের ইনস্টাগ্রামে একটি ইনফোগ্রাফিকস শেয়ার করেছেন কিমেল, যেখানে ‘কমান্ডার ইন থিফ’, ‘অরেঞ্জ জুলিয়াস সিজার’সহ ট্রাম্পের কিছু বিদ্রূপাত্মক উপাধি ছিল। ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘আপনার #নো কিংস পোস্টার বানানোর সময় মনে রাখবেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প ভালো ডাকনাম পছন্দ করেন।’
রবার্ট ডি নিরো এর আগে একটি টিকটক ভিডিওতে হাজির হয়ে সবাইকে আন্দোলনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘২৫০ বছর আগে নো কিংস প্রতিবাদ হয়েছিল। মার্কিনরা তখন রাজা জর্জ তৃতীয়র শাসন মেনে নিতে চায়নি। স্বাধীনতা ঘোষণা করে রক্তাক্ত যুদ্ধ করেছে। এখন আমাদের সামনে এমন একজন রাজা আছেন—কিং ডোনাল্ড দ্য ফার্স্ট। না, আবারও এক হচ্ছি, এবার শান্তিপূর্ণভাবে নিজেদের প্রতিবাদ জানাব।’
অভিনেতা জন কুসাক শিকাগোতে প্রতিবাদে অংশ নিয়ে বলেন, এটা সত্যিই দুঃখজনক। ভীতিকর স্বরশাসনের উত্থান হয়েছে, যা মন খারাপ করে দিতে যথেষ্ট।
পরিচালক পল শ্রেডার ফেসবুকে টাইমস স্কয়ারের প্রতিবাদের ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘আমি সেখানে ছিলাম।’
অভিনেত্রী গ্লেন ক্লোজ ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি শেয়ার করেছেন, যেখানে তাঁর প্ল্যাকার্ডে লেখা, ‘স্বৈরশাসক, সেনাপতি, রাজা—কিছুই চাই না।’ বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে আনতে যুক্তরাষ্ট্রের বড় শহরগুলোয় ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হয়েছে।