বিদ্যালয়ে উপস্থিতি বৃদ্ধি, শিক্ষার্থীদের মনোযোগ ধরে রাখা ও পুষ্টি উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে সারা দেশের নির্বাচিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘স্কুল ফিডিং’ কার্যক্রম শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে। নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে এ উদ্যোগের উদ্বোধন করা হবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার উদ্বোধন করবেন এ কর্মসূচির। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত থাকবেন মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান এবং প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
সপ্তাহের পাঁচ কর্মদিবসে শিক্ষার্থীদের জন্য ভিন্ন ভিন্ন খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর মধ্যে—
রোববার: ১২০ গ্রাম বনরুটি ও সিদ্ধ ডিম
সোমবার: বনরুটি ও ২০০ গ্রাম ইউএইচটি দুধ
মঙ্গলবার: ৭৫ গ্রাম ফর্টিফাইড বিস্কুট ও কলা/মৌসুমী ফল
বুধবার: বনরুটি ও সিদ্ধ ডিম
বৃহস্পতিবার: বনরুটি ও সিদ্ধ ডিম
‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ফিডিং কর্মসূচি’ প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, ২০২৭ সাল পর্যন্ত প্রকল্প মেয়াদে দেশের ১৫০টি উপজেলার ১৯,৪১৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মোট ৩১ লাখ ১৩ হাজার শিক্ষার্থীকে সপ্তাহে পাঁচ দিন পুষ্টিকর খাদ্য সরবরাহ করা হবে। প্রস্তাবিত খাদ্য তালিকায় শিক্ষার্থীরা দৈনিক প্রয়োজনীয় এনার্জির ২৫.৯%, মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টের ৩২.২%, প্রোটিনের ১৬.৪% এবং ফ্যাটের ২১.৭% পাবে। প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, এই কর্মসূচি প্রাথমিক শিক্ষায় অন্তর্ভুক্তিমূলক, সমতাভিত্তিক ও গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে। এর ফলে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার ৮০%–এর বেশি হবে, ঝরে পড়া কমবে, প্রকৃত ভর্তির হার প্রতি বছর ১০% বৃদ্ধি পাবে এবং শিশুদের পুষ্টি উন্নত হবে। পাশাপাশি বিদ্যালয়ে শিশুদের ধরে রাখার হার ৯৯%–এ উন্নীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে এ উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং পর্যায়ক্রমে এ কর্মসূচি সারাদেশে সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে।
