চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশের রপ্তানি আয় প্রায় ২৫ শতাংশ বাড়ার তথ্য দিয়েছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)।
সোমবার সংস্থাটি বলেছে, গত মাসে পণ্য রপ্তানি হয় ৪৭৭ কোটি ডলারের, যা গত বছরের একই মাসের চেয়ে প্রায় ৯৫ কোটি ডলার বা ২৫ শতাংশ বেশি।
২০২৪ সালের জুলাইয়ে পণ্য রপ্তানি হয় ৩৮১ কোটি ৯৫ লাখ ডলারের।
বছরের ব্যবধানে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি বেড়েছে রাবার খাতে; প্রায় দ্বিগুণ।
গত মাসে এ খাতে পণ্য রপ্তানি হয় ৪৯ লাখ ৯০ হাজার ডলারের। খাতটিতে রপ্তানি বেড়েছে ৯২ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
২০২৪ সালের জুলাইয়ে রাবার খাতে রপ্তানি হয় ২৫ লাখ ৯০ হাজার ডলারের পণ্য।
বাংলাদেশি পণ্যে মার্কিন শুল্ক নিয়ে গত কয়েক মাস ধরে রপ্তানিকারক ও ক্রেতাদের ধীরে চলো নীতির মধ্যে রপ্তানি বৃদ্ধির খবরটি সামনে এল।
শুরুতে ৩৭ শতাংশ, এরপর ৩৫ শতাংশ এবং কয়েক মাসের দর কষাকষি শেষ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশি পণ্যে ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেয় ডনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন।
জুলাই মাসের মোট রপ্তানি পণ্যের মধ্যে পোশাক গিয়েছে ৩৯৬ কোটি ২৬ লাখ ডলারের, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৭৮ কোটি ৪১ লাখ ডলার বা ২৪ দশমিক ৬৭ শতাংশ বেশি।
আগের বছরের জুলাইয়ে পোশাক খাতে পণ্য রপ্তানি হয় ৩১৭ কোটি ৮৪ লাখ ডলারের।
বিশেষায়িত বস্ত্রখাতে রপ্তানি হয় ৩ কোটি ডলারের পণ্য, যা গত বছরের জুলাইয়ের তুলনায় ১২ দশমিক ৮৪ শতাংশ বেশি। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে রপ্তানি হয় ২ কোটি ৬৬ লাখ ডলারের পণ্য।
নতুন অর্থবছরের প্রথম মাসে হোম টেক্সটাইল খাতে রপ্তানি হয় ৬ কোটি ৮০ লাখ ডলারের পণ্য, যা গত বছরের জুলাইয়ে ছিল ৬ কোটি ডলার। সে হিসাবে প্রবৃদ্ধি ১৩ দশমিক ২৪ শতাংশ।
গেল মাসে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি বেড়েছে ২৯ দশমিক ৬৫ শতাংশ। এ খাতে পণ্য রপ্তানি হয় ১২ কোটি ৭৩ লাখ ডলারের। আগের বছরের জুলাইতে ছিল ৯ কোটি ৮২ লাখ ডলার।
হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, জুলাইয়ে কৃষি পণ্য গিয়েছে ৯ কোটি ডলারের, যা বছরের ব্যবধানে বেড়েছে ১২ দশমিক ৮৬ শতাংশ। গত বছরের জুলাইয়ে কৃষিপণ্য রপ্তানি হয় ৮ কোটি ডলারের।
অন্যান্য পণ্যের মধ্যে হিমায়িত ও জীবন্ত মাছ রপ্তানি ৪২ দশমিক ৭১ শতাংশ, প্লাস্টিক পণ্য ৭ দশমিক ৪১ শতাংশ ও হস্তশিল্প পণ্য ৯ দশমিক ২৭ শতাংশ বেড়েছে। পাট ও পাট জাতীয় পণ্যে রপ্তানি বেড়েছে ৪ দশমিক ৯২ শতাংশ।