বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ১৬, ২০২৫
No menu items!
বাড়িঅর্থনীতিকেনা হচ্ছে ৪৭২ কোটি টাকার সার, নির্মাণ হবে বাফার গুদাম

কেনা হচ্ছে ৪৭২ কোটি টাকার সার, নির্মাণ হবে বাফার গুদাম

কৃষি মন্ত্রণালয় ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ৯৫ হাজার টন সার কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে ৩৫ হাজার টন এমওপি এবং ৬০ হাজার টন ইউরিয়া সার কেনা হবে। এই সার কিনতে ব্যয় হবে ৪৭২ কোটি ৮ লাখ ৬৬ হাজার ২৫০ টাকা।

সার কেনার পাশাপাশি সার সংরক্ষণ ও বিতরণের সুবিধার্থে রাজশাহীতে ২৫ হাজার টন ধারণক্ষমতার একটি গুদাম নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় রাশিয়া থেকে ৩৫ হাজার টন মিউরেট-অব-পটাশ (এমওপি) সার আমদানির একটি প্রস্তাব নিয়ে আসে কৃষি মন্ত্রণালয়। উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি প্রস্তাবটি পর্যালোচনা করে অনুমোদন দিয়েছে।

জানা গেছে, এই ৩৫ হাজার টন সার আমদানিতে ব্যয় হবে ১ কোটি ২৬ লাখ ৩৫ হাজার মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ১৫৪ কোটি ৯০ লাখ ৫১ হাজার টাকা। প্রতি টনের দাম ধরা হয়েছে ৩৬১ ডলার। রাশিয়ার জেএসসি ‘ফরেন ইকোনমিক করপোরেশন’ থেকে এ সার আমদানি করা হবে।

সভায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে সৌদি আরব থেকে ৩০ হাজার টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ সার কিনতে ব্যয় হবে ১ কোটি ৩৪ লাখ ২৫ হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ১৬৪ কোটি ৫৯ লাখ ৫ হাজার টাকা। প্রতি মেট্রিক টনের দাম ধরা হয়েছে ৪৪৭ দশমিক ৫০ ডলার।

বৈঠকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অপর এক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো), বাংলাদেশ’র কাছ থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ সার কিনতে ব্যয় হবে ১ কোটি ২৪ লাখ ৪৬ হাজার ২৫০ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ১৫২ কোটি ৫৯ লাখ ১০ হাজার ২৫০ টাকা। প্রতি মেট্রিক টনের দাম ধরা হয়েছে ৪১৪ দশমিক ৮৭৫ ডলার।

এছাড়া বৈঠকে ‘সার সংরক্ষণ ও বিতরণের সুবিধার্থে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ৩৪টি বাফার গুদাম নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় প্যাকেজ-৪ এর লট-২ (রাজশাহী-২৫০০০ টন)-এর অধীন একটি সাইটে গোডাউন নির্মাণকাজের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এ প্রস্তাবটিও নিয়ে আসে শিল্প মন্ত্রণালয়।

জানা গেছে, প্রকল্পের আওতায় রাজশাহীতে ২৫ হাজার টন ধারণক্ষমতার বাফার গুদাম নির্মিত হলে ওই অঞ্চলে কৃষকদের প্রয়োজন মতো সার সরবরাহ এবং আপদকালীন সার মজুত সহজ হবে। রাজশাহীতে গুদাম নির্মাণকাজ ক্রয়ের জন্য উন্মুক্ত পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে ৬টি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে দরপ্রস্তাব জমা পড়ে। তার মধ্যে একটি প্রস্তাব আর্থিক ও কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়।

দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসির সুপারিশ করা রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে মেসার্স মার্ক বিল্ডার্স লিমিটেড (এমবিএল) এবং রওশন এলিভেটর লিমিটেড (আরইএল) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ৬৭ কোটি ৯ লাখ ৮৯ হাজার ৬৬৯ টাকা।

Notify of
guest
0 Comments
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
আরো দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ