ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে সম্প্রতি সংঘটিত ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত আমদানি পণ্যের শুল্ক ও কর ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। তবে এই সুবিধা শুধুমাত্র সেসব পণ্যের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে, যেগুলো এখনো খালাস হয়নি এবং মালিকের কোনো গাফিলতি ছিল না।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ ক্ষয়ক্ষতির নিরূপণে ইতোমধ্যে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান পাটোয়ারী।
এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেছেন, “আইনের বিধি-বিধান যথাযথভাবে পর্যবেক্ষণ করে আইনানুগ কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।”
এনবিআরের সাবেক সদস্য ফরিদ উদ্দিন বলেন, “যেসব পণ্যের শুল্ক পরিশোধ করা হয়েছিল কিন্তু খালাসের আগেই তা পুড়ে গেছে, সেসব ক্ষেত্রে এনবিআর সেই শুল্ক ও কর ফেরত দিতে বাধ্য। তবে শুল্কায়ন হয়নি এমন পণ্যের ক্ষেত্রে কাস্টমসের কিছু করার নেই।”
গত ১৮ অক্টোবর (শনিবার) দুপুর সোয়া ২টার দিকে বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অবস্থিত কুরিয়ার গুদামে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের কয়েক ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
ঘটনার পর আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে বিঘ্ন না ঘটাতে বিশেষ ব্যবস্থায় ঢাকা কাস্টম হাউসের কার্যক্রম সচল রাখা হয়েছে।
২০২৩ সালের কাস্টমস আইনের ২৮ ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো পণ্য খালাসের আগে দুর্ঘটনা বা প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং মালিক নির্দোষ প্রমাণিত হন, তবে তিনি প্রমাণসহ আবেদন করলে শুল্ক ছাড় বা ফেরতের সুযোগ পাবেন। তবে এনবিআর কেবল শুল্ক ফেরতের ক্ষমতা রাখে; পণ্যের ক্ষতিপূরণ সংরক্ষণকারী সংস্থার দায়।
তদন্ত কমিটিকে দ্রুততম সময়ে ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।