শনিবার, অক্টোবর ১১, ২০২৫
No menu items!
বাড়িঅর্থনীতিমরিচের কেজি ৩৫০, সবজির দামে উত্তাপ

মরিচের কেজি ৩৫০, সবজির দামে উত্তাপ

টানা বৃষ্টির কারণে রাজধানী ঢাকার কাঁচাবাজারে সব ধরনের সবজির দাম লাগামছাড়া হয়ে উঠেছে। মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে সবজির দাম বেড়েছে ৩০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত। সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি দেখা গেছে কাঁচামরিচের দামে, যা এখন খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) শান্তিনগর, নিউমার্কেট, কাওরান বাজার, রামপুরা, বাড্ডা ও জোয়ারসাহারা কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ সবজির দাম সাধারণ ভোক্তাদের নাগালের বাইরে চলে গেছে। করলা কেজিতে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা, বেগুন ১২০ থেকে ২০০ টাকা, ঢেঁড়শ ৮০ থেকে ১০০ টাকা, পটোল ৮০ থেকে ৯০ টাকা, ঝিঙা ৯০ থেকে ১০০ টাকা, গাজর ১২০ থেকে ১৪০ টাকা এবং বরবটি ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

শীতের আগাম সবজিও স্বস্তি দিচ্ছে না। একটি ছোট ফুলকপি ৭০ টাকা, বাঁধাকপি ৬০ থেকে ৭০ টাকা এবং শিম কেজিতে ২২০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, টানা বৃষ্টির কারণে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ফসলহানি হয়েছে, যার ফলে সবজির সরবরাহ ব্যাপকভাবে কমে গেছে। পাশাপাশি দুর্গাপূজার ছুটির কারণে ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানি বন্ধ রয়েছে, যা দামে প্রভাব ফেলেছে।

তবে অনেক ক্রেতা মনে করছেন, বাজারে তেমন ঘাটতি নেই, কিন্তু ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন। রাজধানীর রামপুরা বাজারে বাজার করতে আসা এক ক্রেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “করলার কেজি ১৬০ টাকা! আগে মাছ-মাংস কম খেতাম, এখন তো সবজি কেনাও কষ্টসাধ্য হয়ে গেছে।”

শুধু সবজি নয়, ভোজ্যতেল, মাছ, মাংস ও মসলা—সব কিছুর দাম ঊর্ধ্বমুখী। খোলা সয়াবিন তেল বর্তমানে লিটারে ১৭২ থেকে ১৭৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা এক সপ্তাহ আগেও ১৭০ থেকে ১৭৬ টাকা ছিল। মাছের বাজারেও অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে—মাঝারি রুই ও কাতল ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, চিংড়ি ৬৫০ থেকে ৯৫০ টাকা, ইলিশ (১ কেজি) ২১০০ থেকে ২৩৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা, খাসির মাংস ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা এবং ব্রয়লার মুরগি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সোনালি মুরগির দাম কেজিতে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা।

এছাড়া, খোলা আটা বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ৫০ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৭০ থেকে ৭৫ টাকা, রসুন ১২০ থেকে ১৩০ টাকা ও আদা ২০০ থেকে ২২০ টাকা দরে।

সব মিলিয়ে সাধারণ মানুষ এখন একপ্রকার নাভিশ্বাস অবস্থায় রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাজারে নজরদারি জোরদার না করা হলে সামনে আরও বড় ধরনের অস্থিরতা দেখা দিতে পারে।

Notify of
guest
0 Comments
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
আরো দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ